নয়া দিল্লি: ইন্ডিয়া জোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিরোধের মধ্যে, সবার আগে ঐক্যমতে পৌঁছেছিল দিল্লি। কংগ্রেস ৩টি এবং আম আদমি পার্টি ৪টি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পাশের রাজ্য পঞ্জাবে ৮টি লোকসভা কেন্দ্রেই আলাদা আলদাভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আপ এবং কংগ্রেস। বস্তুত, দিল্লি এবং পঞ্জাবকে বলা যেতে পারে কেজরীবালের গড়। এই দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় আছে আম আদমি পার্টি। এই দুই রাজ্যের জোরেই আপকে সর্বভারতীয় স্তরে শক্তিশালী করে তোলার স্বপ্ন দেখেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তার উপর ভোটের আগেই আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরীবালের গ্রেফতারি, তাঁর প্রতি একটা সহানুপভূতির হাওয়া তুলেছে ভোটারদের মধ্যে বলে, মনে করেন রাজমনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে কেজরীবালের এই গড়ে কেমন ফল করতে পারে বিজেপি?
* বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল, আসল ফলাফলের আভাস মাত্র। সমীক্ষা সংস্থাগুলি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ফলের একটা পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই আভাসের সঙ্গে আসল ফলফল মিলতেও পারে, নাও পারে।
এর আগে দেখা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টির সঙ্গে থেকেছে দিল্লিবাসী। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির মানুষ আশীর্বাদ করেছেন মোদীকে। এইবার, এই ছবিটা পাল্টে যাবে বলে আশা করেছিল আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। একে, দুই দল জোট বেঁধে লড়ছে। তার উপর, দিল্লি অর্ডন্যান্সের কথা তুলে আপ প্রচার করেছিল, রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে সরাতে হবে। ইন্ডিয়া জোট সরকার এলে, তবেই ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে আপ সরকার। কিন্তু, TV9, পোলস্ট্র্যাট ও পিপলস ইনসাইটের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল বলছে, তারপরও দিল্লির ট্রেন্ড বদলাচ্ছে না। ২০১৯ সালের মতোই দিল্লির ৭টি আসনের ৭টিতেই জয় পেতে চলেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, পঞ্জাবের ১৩টি আসনের মধ্যে ১৩টিতেই আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস ও আপ। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল বলছে, ১৩টি আসনের মধ্যে ৮টি আসন পাবে ইন্ডিয়া। তবে, এর মধ্যে কংগ্রেসের ঘরে কয়টি, আর আপের ঘরে কয়টি যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিজেপি তথা এনডিএ পেতে পারে ২টি আসন। আর অন্যান্যরা পেতে পারে বাকি ৩টি আসন। কাজেই কেজরী-গড়ে এবারও ভাল ফল করতে চলেছে বিজেপি।