মুম্বই: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? গত ২৩ নভেম্বর বিধানসভার ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই এই জল্পনা শুরু হয়েছে। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস নাকি একনাথ শিন্ডে, তা নিয়ে চাপানউতোরও তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সেই জট কি এবার কাটতে চলেছে? বুধবার শিন্ডের একটি মন্তব্যের পরই এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শিন্ডেকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিজেপি। আবার কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
কী বলেছেন শিন্ডে?
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেছি যে যদি মহারাষ্ট্রে আমার জন্য সরকার গড়তে কোনও সমস্যা হয়, তাহলে মনে কোনও সংশয় না রেখে আপনি যেই সিদ্ধান্ত নেবেন, তা আমি মেনে নেব। আপনি পরিবারের প্রধান।” প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও সেকথা জানিয়েছেন শিন্ডে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহকে বলেছি যে আমাকে বাধা হিসেবে দেখবেন না। তাঁরা যেই সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা আমি সমর্থন করব।”
মহারাষ্ট্রে বিধানসভার ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১৩২টি। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ৫৭টি আসন পেয়েছে। আর এনসিপি পেয়েছে ৪১টি আসন। ২০০-র বেশি আসন পেয়ে সরকার গড়ছে মহাযুতি। কিন্তু, কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এদিন শিন্ডের এই মন্তব্যের পর দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, জোটের নেতারা খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিজেপি নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী পদে ফড়ণবীসকেই চাইছেন। এদিন শিন্ডেকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে বলেন, “আমি শিন্ডেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়েছেন। আমি তাঁর জন্য গর্বিত।” তবে গত আড়াই বছরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিন্ডে দারুণ কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেন চন্দ্রশেখর।
এদিকে, শিন্ডের বক্তব্য নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে অভিযোগ করেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপেই মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি ছাড়ছেন শিন্ডে।