নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী যেই হন, তাঁর স্ত্রী থাকা উচিত। স্ত্রী ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকাটা ‘ভুল’। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। বর্তমানে মেডিকেল চেকআপের জন্য নয়া দিল্লিতে আছেন তিনি। বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে হবে, এই প্রশ্নের জবাবেই প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন লালুপ্রসাদ। তিনি বলেন, “স্ত্রী ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকা অন্যায়। এটা বন্ধ করা উচিত।” ঠিক কী কারণে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী থাকা এত গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেননি আরজেডি নেতা। তবে, হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী রাজা বা শাসক হওয়ার অন্যতম শর্ত হল বিবাহিত হওয়া। রামায়ণেও সীতার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরই রামচন্দ্র রাজ্যাভিষেকের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিলেন। তার আগে নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিবাহিত হলেও, কোনওদিনই সংসার করেননি। প্রথম থেকেই তিনি দল ও দেশের কাজে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
আরজেডি প্রধান আরও জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও, ১৭-১৮ জুলাই বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিতে তিনি বেঙ্গালুরু যাবেন। কারণ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মাঠ প্রস্তুত করতে চান তিনি। লালু যাদব বলেন, “রক্ত পরীক্ষা-সহ রুটিন মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আমি দিল্লি যাচ্ছি। এর পর, আমি পটনায় ফিরে আসব। তারপর বিরোধী দলগুলির বৈঠকের জন্য বেঙ্গালুরুতে যাব। বিরোধী দলগুলির সঙ্গে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কেন্দ্র থেকে মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মাঠ প্রস্তুত করব।”
১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে সমমনস্ক বিরোধী দলগুলির দ্বিতীয় বৈঠক হওয়ার কথা। এর আগে ২৩ জুন পাটনায় প্রথম বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন বিহারে মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার। পরবর্তী বৈঠকটির আয়োজন করছে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত, বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও, আসন ভাগাভাগি বা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিরোধী শিবির। প্রসঙ্গত, পটনার বৈঠকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। তাহলে কি মনে মনে রাহুলকেই বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন লালু? এখন সেটাই দেখার।