Ratan Tata: কেন ১ লাখের ন্যানো তৈরির কথা মাথায় আসে রতন টাটার? ১৬ বছর পর সেই তথ্য সামনে আনলেন নীরা

Ratan Tata: নীরা রাডিয়া আরও জানান, সিঙ্গুরের নাম শুনে প্রথমে চমকে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ শুরুতে কাউকে জায়গার কথা জানাননি রতন টাটা। নীরার বক্তব্য, "বাংলায় কর্মসংস্থান বাড়াতে চেয়েছিলেন টাটা, কোনও রাজনীতির মধ্যে প্রবেশ করতে চাননি।"

Ratan Tata: কেন ১ লাখের ন্যানো তৈরির কথা মাথায় আসে রতন টাটার? ১৬ বছর পর সেই তথ্য সামনে আনলেন নীরা
ফাইল ছবিImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Oct 15, 2024 | 12:02 PM

নয়া দিল্লি: ১ লাখের গাড়ি এনে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন রতন টাটা। পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গুরে কারখানা করার পরিকল্পনা থাকলেও, তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তবে গুজরাটে কারখানা গড়ে তৈরি করা হয়েছিল ন্যানো গাড়ি। কেন এমন একটি গাড়ি তৈরির কথা ভেবেছিলেন রতন টাটা? ১২ বছর পর সেই তথ্যই সামনে আনলেন প্রাক্তন কর্পোরেট পাবলিক রিলেশন অফিসার নীরা রাডিয়া। রতন টাটার সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তিনি।

এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীরা রাডিয়া বলেন, রতন টাটা একজন দূরদর্শী মানুষ। আর দেশের জন্য গর্ব বোধ করতেন তিনি। বিশ্বায়নে বিশ্বাস করতেন তিনি। বিদেশের প্রযুক্তি এনে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে যাতে আরও উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টাই করতেন তিনি।

একসময় রতন টাটার অনেক সিদ্ধান্তই খুব কাছ থেকে নিতে দেখেছেন নীরা রাডিয়া। সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, রতন টাটা চেয়েছিলেন, সাধারণ মানুষকে বাইকে চেপে যেন ভিজতে না হয়। সেই সব মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন তিনি।

এই খবরটিও পড়ুন

নীরা রাডিয়া আরও জানান, সিঙ্গুরের নাম শুনে প্রথমে চমকে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ শুরুতে কাউকে জায়গার কথা জানাননি রতন টাটা। নীরার বক্তব্য, “বাংলায় কর্মসংস্থান বাড়াতে চেয়েছিলেন টাটা, কোনও রাজনীতির মধ্যে প্রবেশ করতে চাননি।” প্রাক্তন কর্পোরেট লবিস্টের মতে, সিঙ্গুরে কারখানা হলে কলকাতা থেকে সিঙ্গুরের রাস্তাটাই বদলে যেত। বাংলাকে শিল্পসমৃদ্ধ করাই রতন টাটার লক্ষ্য ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পরবর্তী গুজরাটের সানন্দে তৈরি হয় ন্যানোর কারখানা। সেই জায়গাটা আজ গুরুগ্রামের মতো চেহারা নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন নীরা। ন্যানো গাড়ি হয়ত সেই উচ্চতায় পৌঁছতে পারেনি, যেমনটা রতন টাটা চেয়েছিলেন। তবে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী, তাঁর দূরদর্শিতা প্রশংসার যোগ্য ছিল বলে মনে করেন নীরা।

২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটার পাবলিক রিলেশনের বিষয়টি দেখত নীরার সংস্থা। শুধু তাই নয়, শেষ দিন পর্যন্ত রতন টাটার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও ছিল নীরার।

উল্লেখ্য, বাম সরকারের আমলে কারখানা তৈরিতে আপত্তি জানিয়েছিল তৎকালীন বিরোধী আসনে থাকা তৃণমূল। ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে কারখানা না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন রতন টাটা।