করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কেন বেশি মানুষ পজিটিভ হচ্ছেন?

সুমন মহাপাত্র |

Apr 17, 2021 | 7:26 PM

দেশে গত বছরের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। সার্বিক পজিটিভিটি রেট ১৩.৫ শতাংশের বেশি।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কেন বেশি মানুষ পজিটিভ হচ্ছেন?
ছবি- পিটিআই

Follow Us

নয়া দিল্লি: গত বছর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষের আশপাশে গিয়েছিল। কিন্তু এ বার তা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তবে দেশে গত বছর যখন মারণ আকার নিয়েছিল করোনা,তখনও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে বাড়েনি। অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু এ বার পজিটিভ হওয়ার প্রবণতা বেশি। তার কারণ কী?

মূলত দু’টি কারণের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। প্রথমত ক্রমাগত করোনাবিধি ভঙ্গ ও মারণ স্ট্রেনের প্রভাব। দেশে গত বছর লকডাউন বা লকডাউন পরবর্তী সময়ে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রবণতা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু এ বার কম বয়সীদের মধ্যে মাস্ক না পরার প্রবণতা বেশি। সে কারণেই কমবয়সীরা অধিক করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি স্ট্রেনের ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।

দেশে গত বছরের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। সার্বিক পজিটিভিটি রেট ১৩.৫ শতাংশের বেশি। আর মহারাষ্ট্রে পজিটিভিট রেট ১৫ শতাংশের বেশি। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা বিধ্বস্ত ঠাকরের রাজ্য। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায়ও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রে এই বাড়তি করোনা আক্রান্তের জন্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ সন্দেহ করছেন ‘ডবল মিউট্যান্স স্ট্রেনকে।’ কারণ কয়েকদিন আগেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের একাধিক নমুনায় দেখা গিয়েছে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ প্রায় ৬১ শতাংশ। পঞ্জাবে ৬৯ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ব্রিটেনের স্ট্রেন। দিল্লিতেও হানা দিয়েছে এই বিলিতি স্ট্রেন। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রিটেন তো দেশে ছিলই, পাশাপাশি এই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ বাড়বাড়ন্তের ফলে চিন্তায় স্বাস্থ্যমহল।

কী এই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’?

‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ হল দুটি স্ট্রেনের মিশ্রণ। ই৪৮৪কিউ (E484Q) ও এল ৪২৪আর (L424R) এই দুই স্ট্রেন মিলে তৃতীয় স্ট্রেন তৈরি হয়েছে। যা আগের থেকে বেশি ক্ষতিকারক। এই নতুন স্ট্রেনের ফলেই করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও।

আরও পড়ুন: ২ লাখ ৩৪ হাজারের ঘরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনেই মৃত্যু ১৩৪১ জনের

Next Article