নয়ডা: শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walker) হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি এখনও ম্লান হয়নি। এর মধ্যে রোমহর্ষক আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এবার প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে লুকিয়ে রাখল স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডায় (Noida)। এখানেই শেষ নয়, একেবারে সিনেমার কায়দায় স্বামীকে খুন করার পর থানায় গিয়ে তাঁর নিখোঁজ ডায়ারিও করে স্ত্রী। যদিও এতকিছু করেও শেষরক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশি তদন্তের কাছে তাদের সব জারিজুড়ি ব্যর্থ হয়ে যায়। ওই মহিলা এবং তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম সতীশ। উত্তরপ্রদেশের যুবক সতীশ স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে গ্রেটার নয়ডায় বসবাস করতেন। গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তারঁ দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর স্ত্রী নীতু প্রেমিকের সঙ্গে মিলে সতীশকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। মধ্য নয়ডার অতিরিক্ত ডিসিপি বিশাল পাণ্ডে বলেন, “ওই মহিলা এবং তার প্রেমিক মিলে ওই ব্যক্তিকে (সতীশ) অতিরিক্ত মদ পান করান। তারপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর তাঁর দেহ প্রতিবেশীর এক নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।” সতীশের দেহ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নয়ডার ডিসিপি।
জানা গিয়েছে, দু-বছর আগে স্ত্রী নীতু এবং পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে গ্রেটার নয়ডায় এসে বসবাস শুরু করেন সতীশ। নয়ডার সরস্বতী কুঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িও তৈরি করছিলেন তিনি। গত মাসের ডিসেম্বরের শেষ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সতীশ। তারপর চলতি মাসের শুরুতেই, গত ১ জানুয়ারি নয়ডা থানায় স্বামীর নিখোঁজ ডায়ারি করে নীতু। মূলত স্বামী নিখোঁজের ঘটনায় তাদের উপর থেকে নজর এড়াতেই নুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত থেকে রেহাই মিলল না।