নয়া দিল্লি: বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মাকে (Anand Sharma) নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। রবিবার হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস স্টিয়ারিং কমিটির (Congress Steering Committee) পদ থেকে আনন্দের ইস্তফার পরই যাবতীয় গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নির্দেশে আনন্দের মান ভাঙাতে বৈঠকে বসেছিলেন এআইসিসির তরফে হিমাচল প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব শুক্ল। যাবতীয় জল্পনায় সাময়িক বিরতি দিয়ে আনন্দ শর্মা জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি দলের হয়ে প্রচার করবেন। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই জানিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সমন্বিত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং দলের অন্দরে যাবতীয় দলাদলি দূর করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
কংগ্রেস নেতা বলেন, “যখনই দলের প্রয়োজন হবে, আমি কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করব। যাবতীয় দলাদলি থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সবাই কংগ্রেসি। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা।” এদিন দলীয় সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফার প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “২০১৮ সালে কংগ্রেস সভাপতি পদে আমরা রাহুল গান্ধীকে নির্বাচিত করেছিলাম। তবে তিনি নিজে থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা তাঁকে ইস্তফা দিতে বলিনি। নেহেরু-গান্ধী পরিবারের অবিচ্ছেদ্য থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি এবং সম্মিলিত চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি জানিয়েছেন, কয়েকটি বদল বাস্তবায়িত হলেই কংগ্রেসের ফিরে আসা সম্ভব। হিমাচল প্রদেশের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, “ঐক্যবদ্ধভাবে কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমি কংগ্রেসের মতাদর্শের প্রতি অনুগত এবং তা আমার রক্তে বইছে, এই নিয়ে কোনও দ্বিধা থাকা উচিত নয়। কিন্তু ওই পদে রেখে দেওয়া আমার কাছে অপমানের মনে হয়েছে। সেই কারণে আমার কাছে অন্য কোনও রাস্তা ছিল না।’