নয়া দিল্লি: প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore) কী কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিচ্ছেন? দিলে কবে যোগ দেবেন? দিল্লির অলিন্দে এখন এটাই ‘লাখ টাকার প্রশ্ন’। বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রশান্তের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে জোরাল জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিন বার কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এই ভোট কুশলী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শতাব্দী প্রাচীন এই দল কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সেই নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথাও কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়েছেন প্রশান্ত। আজই পিকের দেওয়া যাবতীয় প্রস্তাব পর্যালোচনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস হাই কম্যান্ড। সূত্রের খবর প্রশান্ত কিশোরের দেওয়া যাবতীয় প্রস্তাব বিবেচনা করার জন্য এটাই সম্ভবত শেষবার বৈঠকে বসবে কংগ্রেস, সেই কারণে শতাব্দী প্রাচীন দলের তরফে আজই এই নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হতে পারে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ছাড়াও ৭ সদস্যের কমিটির সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, কে সি বেণগোপাল, মুকুল ওয়াসনিক, অম্বিকা সোনি, জয়রাম রমেশ, দিগ্বিজয় সিং এবং রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সিনিয়ন নেতা এ.কে অ্যান্টনিও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ৩ দফার বৈঠকে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করার রণকৌশল উপস্থাপনা করেন প্রশান্ত। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি কংগ্রেস। এমনকী দলের অন্দরেই গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশান্ত কংগ্রেসে যোগ দিতে ইচ্ছুক, এই কথা জানার পর থেকেই অনেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতাই পিকে-র এই প্রস্তাব নিয়ে চিন্তিত। তাদের মতে প্রশান্ত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করেন, সেই কারণে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অনেকের মতেই প্রশ্ন রয়েছে। ২০২৩ সালের তেলাঙ্গানা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও তাঁর দল তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সঙ্গে আইপ্যাকের চুক্তি হওয়ার কারণে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন আরও জোরাল হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও পিকে জানিয়ছিলেন যে আইপ্যাকের সঙ্গে তাঁর আরও কোনও সম্পর্ক নেই।
২০২৩ সালের নির্বাচনে তেলাঙ্গানাতে কংগ্রেস ও টিআরএসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাত হবে। সম্প্রতি পিকের ২ দিনের হায়দরাবাদ সফর ঘিরে জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে। সনিয়া গান্ধীর তৈরি করা ওই বিশেষ কমিটির অধিকাংশ সদস্য মনে করেন, প্রশান্ত যদি কংগ্রেসে যোগ দিতে চান, তবে তাঁকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে কংগ্রেসে নিয়োজিত করতে হবে। অন্যদিকে প্রশান্ত মনে করেন, কংগ্রেসকে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ও কেসিআরের তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হওয়া উচিৎ। এখন প্রশান্তকে নিয়ে কংগ্রেস কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।