নয়া দিল্লি: সবার উপরে কি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দি ভাষা? এই নিয়ে জোর বিতর্ক। ভাষার এই বিরোধ নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। টিভি৯ নেটওয়ার্কের আয়োজিত হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে কনক্লেভের দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ ভারতে কারোর উপরে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। আমি নিজে দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছি, কিন্তু হিন্দি বলতে চেষ্টা করি।”
টিভি৯ নেটওয়ার্কের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ কনক্লেভে জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, “দক্ষিণ ভারতে কারোর উপরে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। আমি নিজে দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছি কিন্তু হিন্দি বলতে চেষ্টা করি। আমি হিন্দি পড়িনি কিন্তু হিন্দি অবশ্যই শিখেছি। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যারা হিন্দির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদের বুঝতে হবে যে মোদী সরকারের গত ১০ বছরে কখনও সকলের জন্য হিন্দি শেখা বাধ্যতামূলক করা হয়নি।”
জি কিষাণ রেড্ডি আরও বলেন, কংগ্রেসের আমলেও মানুষ হিন্দি বিরোধী আন্দোলন করত। কিন্তু ভারত সরকার কাউকে হিন্দি বলতে বাধ্য করেনি, বরং মাতৃভাষার প্রতি আরও উৎসাহ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “দেশে বিভিন্ন ভাষা রয়েছে। নতুন শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন আসছে, তাই স্ট্যালিনজি ভাষার নামে রাজনীতি করছেন। হিন্দি-বিরোধিতার নামে রাজনীতি করছেন। এমকে স্ট্যালিন চার বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন। এই চার বছরে তিনি একটিও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। নির্বাচন আসছে, তাই স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, মদ কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচতে তারা কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও হিন্দি ভাষার দিকে পাথর ছোড়ার চেষ্টা করছেন। হিন্দি বিরোধিতার নামে তামিলনাড়ুতে ভোট পেতে চাইছেন।”
রেড্ডি বলেন, “আমরা কোনও ভাষাকেই উপেক্ষা করি না। সবাই মাতৃভাষাকে উৎসাহিত করে। মোদিজি যেখানেই যান, তিনি সেই জায়গার ভাষাতেই তার বক্তৃতা শুরু করেন। মোদীজি মাতৃভাষার প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল, তা তামিলনাড়ু, কেরল, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, বাংলা, মহারাষ্ট্র যেখানেই যান না কেন…সর্বত্রই তিনি প্রথমে ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তারপর বক্তৃতা দেন।”