WITT Satta Sammelan: রামের বিরুদ্ধে লড়ে জিততে পারবে কংগ্রেস? TV9-কে খাড়্গে বললেন…
WITT Satta Sammelan: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, বলা হচ্ছে উত্তর ভারত রামময় হয়ে গিয়েছে। এই রামময় ভারতে বিজেপিকে হারানো কি আদৌ সম্ভব কংগ্রেসের পক্ষে? মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি), TV9 নেটওয়ার্কের 'হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে' (WITT)-র সত্তা সম্মেলন অধিবেশনে যোগ দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এই বিষয়ে কী বললেন তিনি?
নয়া দিল্লি: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা, প্রয়াত পিভি নরসিমহা রাও এক সময় বলেছিলেন, তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারবেন, কিন্তু রামের বিরুদ্ধে লড়তে পারবেন না। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, বলা হচ্ছে উত্তর ভারত রামময় হয়ে গিয়েছে। এই রামময় ভারতে বিজেপিকে হারানো কি আদৌ সম্ভব কংগ্রেসের পক্ষে? মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি), TV9 নেটওয়ার্কের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ (WITT)-র সত্তা সম্মেলন অধিবেশনে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মের রাজনীতি করার পুরোনো অভিযোগই করলেন। তবে, তাঁর মতে ধর্ম বিশ্বাস প্রত্যেকের আলাদা আলাদা হয়। তার উপর রাজনৈতির বিশ্বাস নির্ভর করে না।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “রাজনীতির মধ্যে ধর্মকে টেনে আনা উচিত নয়। রাজনীতি আলাদা, ধর্ম আলাদা। মানুষের আস্থার বিষয়টা পুরোপুরি আলাদা। এক ধর্মেও ভিন্ন ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন ভিন্ন দেবতার পুজো করে। কেউ রামের ভক্ত, কেউ শঙ্করের, কেউ মুসলিম ধর্মে বিশ্বাসী, কেউ খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করা উচিত। দেশে অনেক সমস্যা রয়েছে। বেকারত্বের সমস্যা আছে, মুল্যবৃদ্ধির সমস্যা আছে। এই সকল সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্যই আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয়েছে। ধর্মের কাজ করার জন্য নয়। এটা সাধু-সন্ন্যাসীদের কাজ। যার যেটা কাজ, তার সেটাই করা উচিত।
সত্তা সম্মেলনে ওঠে দেশকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করার প্রসঙ্গও। সম্প্রতি, কর্নাটকের এক কংগ্রেস নেতা কর বন্টনের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। এভাবে চললে, দক্ষিণ ভারতকে ভারতের থেকে আলাদা করে দিতে হবে, এমনও মন্তব্য করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে খাড়্গে বলেন, “উত্তর-দক্ষিণে এই ভেদাভেদ করা ঠিক নয়। আমরা সবাই ভারতীয়। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবেই স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। দেশকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটা আমাদের এবং আমাদের দেশের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন। দেশের মানুষের মধ্যে এই ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করা ঠিক নয়। সংবিধান বাঁচাতেই আমরা জোট বেঁধেছি। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে আমরা জোট বেঁধেছি।”