World’s tallest Chariot: পুরী নয়, বিশ্বের বৃহত্তম রথ তৈরি হয় ভারতের এই মন্দিরে
বলদেবজিউ মন্দিরের রথ কাঠের তৈরি। তার উচ্চতা ৭২ ফুট এবং তা প্রায় ৪৭ ফুট চওড়া। ৩৫ জন কারিগর এই রথ তৈরির কাজ করছেন। ১৬৭১ সালে এই মন্দির নির্মাণ করান রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ ভঞ্জ। সেই মন্দিরের রথযাত্রা উপলক্ষে উৎসবে মাতেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
কেওনঝড়: রথযাত্রা উৎসবের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি ওড়িশার বলদেবজিউ মন্দিরেও রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ওড়িশার কেওনঝড়ে অবস্থিত এই মন্দিরের রথ বিশ্বের উচ্চতম রথ। বলদেবজিউ মন্দিরের রথ কাঠের তৈরি। তার উচ্চতা ৭২ ফুট এবং তা প্রায় ৪৭ ফুট চওড়া। ৩৫ জন কারিগর এই রথ তৈরির কাজ করছেন। ১৬৭১ সালে এই মন্দির নির্মাণ করান রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ ভঞ্জ। সেই মন্দিরের রথযাত্রা উপলক্ষে উৎসবে মাতেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই রথ নিয়ে স্থানীয় কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল বিভূতি দাস বলেছেন, “আমরা রথ দেখতে পুরী যাই না। এখানে খুব ধুমধাম করে রথযাত্রা হয়। শ্রী বলদেবজিউ মন্দিরের রথযাত্রা পুরীর মতোই। কিন্তু এখানে তিন দেবতাকে একটি রথে করে নিয়ে যাওয়া হয়। বলদেবজিউ মন্দির থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গুন্দিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মন্দিরের প্রধান দেবতা বলদেবজিউ।”
বলদেবজিউর রথযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন স্থানীয় আদিবাসীরাও। রাজা লক্ষ্মীনারায়ণের আমলে ভুয়ান জনজাতির মানুষরা সিয়ালি গাছের তৈরি দড়ি দিতেন রাজাকে। সেই দড়ি ব্যবহার করেই টানা হত রথ। এখনও সেই প্রথা চালু রয়েছে। এ বছর তিনটি দড়ি ভুয়ান জনজাতির মানুষরা দিয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
বলদেবজিউর রথযাত্রার বিষয়ে নিলাদ্রি মিশ্র নামের এক গবেষক বলেছেন, “অতীতে জুয়াং, ভুয়ান এবং মুন্ডা জনজাতির মানুষরা পাহাড় থেকে নেমে আসত। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেই আসত তারা। রথ উৎসবের সময় এখানেই থাকত। এমনকি আদিবাসী নাচ-গান হত। জঙ্গল থেকে ফল, সব্জি এনে রথের মেলায় বিক্রি করত তারা। কিন্তু নগরায়নের যুগে এই প্রবণতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।”