নয়া দিল্লি : কানপুর: সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না লাগালেন স্ত্রী। তারপর সেই ওড়নায় ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। আর সামনে দাঁড়িয়ে দেখলেন স্বামী। কানপুরের ঘটনা রীতিমতো চমকে দিচ্ছে মৃতার পরিবারকে। গৃহবধূর মৃত্যু কী ভাবে হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্ত্রীকে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন দেখেও কীভাবে চুপ করে রইলেন স্বামী, তা ভেবে শিউরে উঠছেন প্রত্যেকে। শুধু তাই নয়, সেই দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ডও করেছেন ওই ব্যক্তি। উত্তর প্রদেশের কানপুরের ঘটনা। পরে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।
সবিতা গুপ্তা নামে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল ৫ বছর আগে। গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে তাঁর স্বামীর বচসা চলছিল। মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তিনি নিজের গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করছেন। গলায় জড়িয়ে নিচ্ছেন ওড়না। আর তাঁর স্বামী সঞ্জয় তাঁকে থামানোর চেষ্টা না করে সেই দৃশ্য দেখে যাচ্ছেন। এমনকি যখন ওই মহিলা ওড়নায় ঝুলতে যাচ্ছেন, সেই সময় তাঁর স্বামী বলছেন, ‘খুব ভাল। এটাই ছিল তোমার মনে? খুব খারাপ ভাবনা-চিন্তা।’ সবিতা স্বামীর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন। সেখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ভিডিয়োটা।
সবিতার বাবা রাজকিশোর গুপ্তা জানিয়েছেন, তাঁর জামাই তাঁকে ফোন করে তাঁর মেয়ের মৃত্যুর খবর জানান। মঙ্গলবার বিকেলে ওই ফোন পেয়ে ছুটে যান সবিতার পরিবার পরিজন। গিয়ে দেখেন, সবিতার দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার ওপর। আর তাঁর শ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করছেন সঞ্জয়।
সঞ্জয় ভিডিয়োটি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ভিডিয়োটি দেখিয়ে দাবি করেন, প্রথমবার সবিতাকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখছে সবিতার পরিবার। সবিতার পরিবার তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকজন এটা বিশ্বাসই করছে না যে সবিতাকে বাঁচানোর কোনও রকম চেষ্টা হয়েছিল। সবিতার পরিবার বারবার একটাই কথা বলছে, ‘আমরা ন্যয়বিচার চাই।’