নয়া দিল্লি: গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে কত সময় লাগবে? টুইটারের কাছে জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। অনির্দিষ্টকাল সময় দেওয়া সম্ভব নয় বলেও সাফ জানালেন বিচারপতি। ভারতের নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে মার্কিন এই সংস্থাকে গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। কয়েক মাস কেটে গেলেও এখনও ওই পদে কোনও ভারতীয় আধিকারিককে নিয়োগ করেনি টুইটার। এর জন্য আইনি রক্ষাকবচও হারাতে হয়েছে টুইটারকে। আজ মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জানতে চাইলেন ঠিক কতদিনের মধ্যে আধিকারিক নিয়োগ করা সম্ভব।
আইটি আইন মেনে নতুন অফিসার নিয়োগের ডেডলাইন পার করে ফেলেছে টুইটার। এ দিন আদালতে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, অফিসার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন টুইটারের পক্ষের আইনজীবী। বিচারপতি রেখা পাল্লি বলেন, ‘প্রক্রিয়া শেষ হতে কত সময় লাগবে? যদি টুইটার ভাবে যত দিন ইচ্ছা সময় নেবে, সেই অনুমতি আমি দেব না।’ জবাবে টুইটারের পক্ষের আইনজীবী সজন পুভায়া বলেন, ‘সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগতে পারে।’ গত ২১ জুন ধর্মেন্দ্র চতুরের পদত্যাগের পর কেন গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করা হল না, তাও জানতে চান বিচারপতি।
গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট টাইমলাইন মেনে চলার কথা বলেন বিচারপতি। টুইটারের আইনজীবীকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে স্পষ্ট উত্তর নিয়ে আসবেন পরের বার, নাহলে আপনাদের সমস্যায় পড়তে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি আছে। সে দিনই নির্দিষ্ট জবাব দিতে হবে টুইটারকে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার রদবদলের আগেই আট রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল, তালিকায় নাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
কেন্দ্রের তরফ থেকেও উল্লেখ করা হয় যে, তিন মাস সময় দেওয়া হলেও তথ্য প্রযুক্ত আইন সম্পূর্ণভাবে মেনে নেয়নি টুইটার। হাইকোর্টের তরফেও জানানো হয় যে, টুইটারকে কোনও সুরক্ষা দেওয়া হবে না। নতুন আইন তাঁদের মানতেই হবে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছেন টুইটারের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন কোনও আধিকারিক গ্রিভেন্সের বিষয়টা দেখেন, যা ভারতের আইটি আইন বিরোধী। ধর্মেন্দ্র চতুরের পদত্যাগের পর গ্রিভেন্স অফিসারের দায়িত্ব নেন সংস্থার গ্লোবাল পলিসি ডিরেক্টর জেরেমি কেসেল। কিন্তু ভারতের আইটি আইন অনুযায়ী, একজন ভারতীয়কে ওই পদে নিয়োগ করতে হবে।