Bus Crisis: আরও ঘনীভূত হচ্ছে সঙ্কট, ৫ মাসেই গায়েব হবে আরও ১২০০ বাস! জল গড়াচ্ছে হাইকোর্টে

Sayanta Bhattacharya | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 29, 2024 | 7:31 PM

Bus Crisis: এদিন বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের মাধ্যমে ১৫ বছরের মেয়াদ সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি রয়েছে তা প্রকাশ্যে আনতে হবে। বাস মালিক সংগঠনগুলি মনে করছে, আদালতের প্রক্রিয়া অত্যন্ত দীর্ঘতর। তাই যতটা সম্ভব দ্রুত কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনতে চাইছেন তাঁরা।

Bus Crisis: আরও ঘনীভূত হচ্ছে সঙ্কট, ৫ মাসেই গায়েব হবে আরও ১২০০ বাস! জল গড়াচ্ছে হাইকোর্টে
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Getty Images

Follow Us

কলকাতা: সঙ্কট চলছেই। আগামী ৪ মাসের মধ্যে তা আরও ঘনীভূত হবে। আগামী চার মাসের মধ্যে শহরে ভয়াবহ বাস সঙ্কটের মুখে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। স্বীকারোক্তি বাস মালিক সংগঠনগুলির। শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে কলকাতার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত বৈঠকে। 

আশঙ্কা, ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে কলকাতা শহর থেকে উধাও হয়ে যাবে ১২০০ র বেশি বাস। বড়সড় সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছেন যাত্রীরা। স্বীকার করলেন বাস মালিক সংগঠনগুলি। ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বাসগুলির। প্রথমে পরিবেশ আদালত, পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী বাসগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন। 

তাই এবার আর রাজ্য সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হতে চলেছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার সিটি সাব-আরবান বাস সার্ভিসের বৈঠকে বেসরকারি মালিক সংগঠনগুলির নেতারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মোট ৫১টি বেসরকারি রুটের বাস মালিক এই বৈঠকে যোগ দেন। পরিবেশ আদালত ১৫ বছরের মেয়াদ সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছে, তার কোন নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি নেই বলে দাবি করছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি। তাই তাঁরা চাইছিনে এ বিষয়ে স্বচ্ছতা আসুক। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখুক রাজ্যের শীর্ষ আদালত। সেই আবেদনই তাঁরা করতে চলেছেন। 

সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের মাধ্যমে ১৫ বছরের মেয়াদ সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি রয়েছে তা প্রকাশ্যে আনতে হবে। বাস মালিক সংগঠনগুলি মনে করছে, আদালতের প্রক্রিয়া অত্যন্ত দীর্ঘতর। তাই যতটা সম্ভব দ্রুত কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনতে চাইছেন তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিষয়টি বিচারাধীন থাকাকালীন যদি সেই যুক্তিকে সামনে রেখে কোনওভাবে বাসগুলিকে বাতিল হয়ে যাওয়া থেকে যদি আটকানো যায় সেই চেষ্টাই করতে চলেছেন আবেদনকারীরা।  

সিদ্ধান্ত হয়েছে, এভাবে মার্চ মাসের মধ্যে হাজারের বেশি বাস বাতিল হয়ে গেলে সাধারণ যাত্রীরা যে সঙ্কটের মুখে পড়বে সেটাও পরিষ্কার করে জানানো হবে কলকাতা হাইকোর্টে। কারণ, যে সংখ্যক বাস বাতিল হচ্ছে সেই তুলনায় সম সংখ্যক বাস রাস্তায় নামানো হচ্ছে না। আনুপাতিক হার যথেষ্ট উদ্বেগ জনক। ১০:৩। অর্থাৎ ১০টা বাস বাতিল হলে, ৩ টে বাস নামছে। যেটা নামতে অন্তত চার মাস সময় নিচ্ছে। সে কারণেই সঙ্কট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকার যে স্ক্র্যাপ নীতি নিয়েও কথা বলছেন তাঁরা। নতুন এই নীতিতে একাধিক বাস সম্পূর্ণ স্ক্র্যাপ করে দেওয়া হচ্ছে। সেটাকে আটকানোই এখন মূলত উদ্দেশ্য বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলির। এ বিষয়টিও কলকাতা হাইকোর্টের সামনে নতুন করে তুলে ধরতে চাইছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি। 

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, করোনাকালের আগে কলকাতায় ৪ হাজার ৮৪০ টি বেসরকারি বাস চলাচল করতো। কোভিড সময়ে বহু বাস বসে যায়। এখন চলাচল করছে ৩ হাজার ৬১৫টি বাস। মিনিবাসের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৪ টি। এখন রয়েছে ১, ৪৯৮টি। যদিও এই তথ্য প্রায় ৫৫০টি বাস বসে যাওয়ার আগে।

Next Article