Jadavpur Assembly: নাম- ■■, ঠিকানা-ফুলস্টপ, যাদবপুরে নাকি ভোট দেন এরা!
Jadavpur News: মূলত, বুধেরহাট অঞ্চলে রয়েছে অস্থায়ী বাড়ি। সেখানে বাক্স-বাক্স নামের ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তার সঙ্গে সঙ্গে অনেক মানুষকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হল। যাঁদের বাড়ির ঠিকানা লেখা নেই। হয়ত তাঁরা রয়েছেন, কিন্তু ভোটার লিস্টের ভুলের জন্য হতে পারে সন্দেহভাজন হয়ে যাচ্ছেন। ভোটার লিস্টে যে এই ভুল রয়েছে শাসক-বিরোধী সবাই মানছেন।

সত্যিই কি ভুয়ো ভোটার আছে?
সিপিএম-এর অভিযোগের পরই টিভি ৯ বাংলা পৌঁছে যায় বুধেরহাট অঞ্চলে। অর্ন্ততদন্ত করে দেখে। আর তখনই হাতে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গেল ভোটারের নাম-ঠিকানায় বিস্তর গড়মিল। কোথাও ভোটারের নামে সাংকেতিক চিহ্ন। কারও ঠিকানায় আবার ফুলস্টপ। সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ মিলছে না বহু ভোটারের।
কোথায় এমন ঘটনা?
যাদবপুর বিধানসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে রয়েছেন প্রচুর ভোটার। সিপিএম দাবি করেছে এই ওয়ার্ডে এমন প্রচুর ভোটার রয়েছেন, যাঁদের ভোটার লিস্টে ভুল রয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই অস্তিত্বহীন। এক ভোটার লিস্টে আবার নামের জায়গায় শুধু বক্স-বক্স করা।
মূলত, বুধেরহাট অঞ্চলে রয়েছে অস্থায়ী বাড়ি। সেখানে বাক্স-বাক্স নামের ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তার সঙ্গে সঙ্গে অনেক মানুষকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হল। যাঁদের বাড়ির ঠিকানা লেখা নেই। হয়ত তাঁরা রয়েছেন, কিন্তু ভোটার লিস্টের ভুলের জন্য হতে পারে সন্দেহভাজন হয়ে যাচ্ছেন। ভোটার লিস্টে যে এই ভুল রয়েছে শাসক-বিরোধী সবাই মানছেন।
কী বলেছেন সুজন চক্রবর্তী?
তিনি বলেন, “যাদবপুরে ৩৪৭ বুথ আছে। এর মধ্যে আপনি যদি ভুল ঠিকানা দেখেন আরও বেশি। ৩০-৩৫-৫০ হোক ৩৪৭টা বুথ ওদের অঙ্কের হিসাবে হওয়া উচিত ৩১০-৩১২-৩১৫। ফাজলামো হচ্ছে?”
যদিও যাদবপুরের বিধায়ক মলয় মজুমদার বলেন, “সিপিএম-এর গ্রহণযোগ্যতা নেই। সিপিএম ওই ক্যামেরা-টিভিতেই থাকে।” বিজেপি নেতা সদল ঘোষ বলেন, “ধরুন আমার বাড়িতে ৬টা ভোটার। এবার এমন দুজন আছেন যাঁদের কোনও অস্তিত্ব নেই। এই শিয়ালদহ অঞ্চলে এলে এমন বহু বাড়ি দেখাব যেখানে ৩০-৪০ টা করে নাম ঢোকানো আছে। যাঁদের কোনওদিন অস্তিত্ব ছিল না।”
