21 July: সংসদে এবার নিয়ম করে বাংলা বলব, দেখি কার গায়ে কত জ্বালা: অভিষেক
Abhishek Banerjee: গত কয়েক মাসের বাংলার রাজ্য রাজনীতি তপ্ত ঠিক এই ইস্যুতেই। ভিন রাজ্যে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলা ভাষায় কথা বলে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। গত সপ্তাহেই বাঙালি অস্মিতার রক্ষার স্বার্থে পথে নেমেছিলেন মমতা-অভিষেক।

কলকাতা: ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে মহাইভেন্ট শাসকদলের। বাঙালি অস্মিতাকে সামনে রেখেই বক্তব্যের শুরু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন অভিষেক। আর সেটাতেও রইল বাঙালি অস্মিতার ছোঁয়া।
গত কয়েক মাসের বাংলার রাজ্য রাজনীতি তপ্ত ঠিক এই ইস্যুতেই। ভিন রাজ্যে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলা ভাষায় কথা বলে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। গত সপ্তাহেই বাঙালি অস্মিতার রক্ষার স্বার্থে পথে নেমেছিলেন মমতা-অভিষেক। একুশের সভার বিষয়বস্তু কী হতে পারে, তার সুর সেদিনই বাঁধা হয়ে গিয়েছিল। কলেজ স্কোয়ারের মঞ্চ থেকে সেদিনই কেন্দ্রের ‘গুপ্ত’ নোটিফিকেশন জারি করার অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিযোগ ছিল, কেন্দ্র নাকি একটি নোটিফিকেশন জারি করেছে, যে বাংলা ভাষাতে কথা বললেই ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। সেই মর্মে ভিন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে মমতা অভিযোগ করেন। একুশের মঞ্চ থেকে ঠিক এখান থেকেই শুরু করেন অভিষেক।
অভিষেক বলেন, ‘‘বাংলার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়। বিজেপিকে আমরা ছাব্বিশের পর ওই ক্যাম্পে নিয়ে যাব। বিজেপিকে কোনও জায়গা ছাড়া চলবে না।’’
সংসদেও অধিবেশনে বাংলায় কথা বলার পরামর্শ দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বাংলায় কথা বললে বিজেপির নেতা, অসমের মুখ্য়মন্ত্রী বলছেন বাংলাদেশি! আজ ১৫ দিন হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা করেছেন? একজন মুখ্যমন্ত্রী, পদে বসে বলছেন, বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি!” এরপরই অভিষেক বলেন, “গর্ব করে বলব, আর আমাদের এবার নিয়ম করে নেওয়া উচিত, অন্তত এই সেশনে সংসদে বাংলায় বক্তব্য রাখব, দেখি কার গায়ে জ্বালা। আগে দিনে যদি ১০ বার বলতাম, এখন পাঁচশো বার বলব।”
বিজেপিকে অভিষেকের খোঁচা, “আজকে বলছে জয় মা কালী, ছাব্বিশের নির্বাচনের পর জয় বাংলা বলাব।”
