AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

21 July: ‘১০০ দিনের টাকা আদায়ে গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লি চলো…’ একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডাক দিলেন অভিষেক

21 July: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই দলের জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী অভিষেক যে ব্যবধানের অনুমান করেছিলেন, তা বাস্তবে ছাপিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। তাতেই উচ্ছ্বসিত অভিষেক বললেন, "আমি ভুল ছিলাম..." অভিষেক ঠিক কী বললেন দেখুন এক নজরে...

21 July: '১০০ দিনের টাকা আদায়ে গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লি চলো...' একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডাক দিলেন অভিষেক
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2023 | 2:27 PM
Share

কলকাতা:  একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে একশো দিনের টাকা আদায়ে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির দিন ঘোষণা করলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতেই বাংলার মানুষকে নিয়ে দিল্লি যাবেন তিনি। কৃষিভবনের বাইরে বসে চলবে প্রতিবাদ।  পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই দলের জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী অভিষেক যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপির সঙ্গে যে ব্যবধানের অনুমান করেছিলেন, তা বাস্তবে ছাপিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। তাতেই উচ্ছ্বসিত অভিষেক বললেন, “আমি ভুল ছিলাম…” অভিষেক ঠিক কী বললেন দেখুন এক নজরে…

KEY HIGHLIGHTS

  1. আমরা ২ মাস ধরে রাস্তা ছিলাম। আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষ যাকে মান্যতা দিয়েছে, তৃণমূল তাঁকে দাঁড় করিয়েছে। কোনও নেতার কোথায় নয়। জিতিয়েছে মানুষ। আমি নবজোয়ার কর্মসূচির সময়ে বলেছিলাম, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৮ শতাংশ পেয়েছিল, তৃণমূল ছিল ৪৮ শতাংশ। ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। আমি বলেছিলাম, পঞ্চায়েতে এই ব্যবধান ১৫ শতাংশের বেশি হবে। আমি ভুল ছিলাম। কারণ ব্যবধান ৩০ শতাংশের বেশি হয়েছে। তৃণমূল একক ভাবে লড়াই করে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ভারতীয় জুমলা পার্টি ২২ শতাংশ পেয়েছে। ইডি-সিবিআই-সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে।
  2. মানুষ ভুল বুঝিয়ে, ইডি সিবিআই লাগিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করা যাবে না। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা। যত তাতাবে শক্তিশালী হব। ঘাসফুল কেটে কখনও শেষ করা যাবে না।
  3. আগামী চব্বিশে জিতছে কে? ইন্ডিয়া আবার কে? ওদের দম্ভকে শেষ করতে মানুষের ৫ সেকেন্ড সময় লাগবে। এটাই গণতন্ত্র।
  4. আমি বলেছিলাম, ১০০ দিনের টাকা দিল্লির বুক থেকে আদায় করে আনব। আমি মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, যদি তৃণমূল কোনও গণঅভ্যুত্থানের ডাক দেয়, তাহলে আপনারা যাবেন তো? সবাই হ্যাঁ বলেছিল।
  5. বাংলার প্রতি যে ধারাবাহিক নিপীরণ চলছিল, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। বাংলার বকেয়া পাওয়া আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। আজকের একুশের জুলাইয়ের সমাবেশ দেখে ২০১০ সালের একুশে জুলাইয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সারা বাংলা একটা আওয়াজেই মুখরিত হয়েছিল, যে আগামী ২০১১ সালে বামফ্রন্টের বিদায় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। ইন্ডিয়া জিতেগা।
  6. ক্ষমতা আছে কারোর, ভারতবর্ষের সঙ্গে লড়়বে। আমি নেত্রীর অনুমতি নিয়ে আজ ঘোষণা করছি, একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ে আমি দিল্লি যাব। দিল্লির জনবিরোধী সরকার। একশো দিনের কাজের নাম কী? এমজি নারেগা, মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট। একশো দিনের আন্দোলন আগামী দিনে কৃষিভবনের বাইরে হবে। গান্ধী জয়ন্তীতে ২ অক্টোবর দিল্লি চলোর ডাক। গান্ধী জন্মদিবসে দিল্লি চলোর ডাক দিল তৃণমূল। তবে তার আগে একটা ট্রেলর আপনাদের দেখাতে হবে।
  7.   ব্লক থেকে শুরু করে বুথ, সব স্তরে যত বিজেপি নেতা আছে আপনাদের এলাকায়, একটা তালিকা তৈরি করুন। আগামী ৫ অগাস্ট শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বাড়ি ঘেরাও করুন। তবে বাড়িতে বয়স্ক কেউ থাকলে, ছেড়ে দেবেন। তবে শান্তিপূর্ণভাবেই সবটা করতে হবে। ৫ অগস্ট গণঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা নেত্রীর অনুমতি নিয়ে করলাম।  তবে কোথাও কারোর গায়ে হাত দেবেন না।
  8. আমাদের ইডি-সিবিআই ডাকলে দেরি হয় না। কিন্তু মণিপুরে একটা বর্বরোচিত ঘটনা, কিন্তু এত দেরি কেন পদক্ষেপ করতে? আমাদের নেত্রী প্রথম বলেছিলেন, মণিপুর যেতে হবে। আমি চিঠি লিখেছিলাম।
  9. ২ অক্টোবর আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যাব। ট্রেনে বসে এক বুক আশা নিয়ে আমরা দিল্লি যাব। টাকা তো ছিনিয়ে আনবই। খুব তাড়াতাড়ি মাঠে ময়দানে দেখা হবে।

.