Supreme Court: ‘সুপ্রিম’ স্থগিতাদেশের পরেও কেন বেতন বন্ধ? ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ ২৬৯ জন চাকরিহারা শিক্ষক
Supreme Court: ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টেরর স্থগিতাদেশের পরেও তাঁদের চাকরিতে পুনরায় যোগদান বন্ধ রয়েছে। বেতনও বন্ধ রয়েছে তাঁদের। এই অবস্থায় তাঁদের চাকরিতে যোগদান করতে দিক রাজ্য। দাবি কাজ হারানো শিক্ষকদের।
কলকাতা: ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল হওয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মামলায় তাঁদের পার্টি করে, তাঁদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো ওই ২৬৯ জনকে মামলায় সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আর এরই মধ্য়ে ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টেরর স্থগিতাদেশের পরেও তাঁদের চাকরিতে পুনরায় যোগদান বন্ধ রয়েছে। বেতনও বন্ধ রয়েছে তাঁদের। এই অবস্থায় তাঁদের চাকরিতে যোগদান করতে দিক রাজ্য। এই আর্জি জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই ২৬৯ জন। অবিলম্বে যাতে তাঁদের বেতন চালু করা হয়, সেই আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গতকালই ওই ২৬৯ জনকে কলকাতা হাইকোর্টে চলা মামলায় পার্টি করার জন্য তথ্য চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা। তারপরই আজ সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন ২৬৯ জন চাকরি হারানো শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ ওই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও ওই একই নির্দেশ বহাল রাখে। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। শীর্ষ আদালত সেই সময় ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। বেশ কিছু প্রশ্নও তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ওই পদে চার বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদে তাঁরা ‘পারমানেন্ট’ হয়ে গিয়েছেন। এমন অবস্থায় কেন তাঁদের মামলায় পার্টি করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশনামায় এও বলা হয়েছিল, কীসের ভিত্তিতে তাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল? সুপ্রিম কোর্ট ওই ২৬৯ জনকে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানাবেন। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে বিচারপতি তদন্তও করাতে পারেন বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।