Physical Harassment: খাস কলকাতায় ধর্ষণের অভিযোগ, তদন্তে নেমে শাড়ি-মশারি নিয়ে গেল প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ

Physical Harassment: প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ ৩১ অক্টোবর ওই বৃদ্ধার বাড়িতেও গিয়েছিল। তদন্তের প্রয়োজনে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে পুলিশ।

Physical Harassment: খাস কলকাতায় ধর্ষণের অভিযোগ, তদন্তে নেমে শাড়ি-মশারি নিয়ে গেল প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ
(প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 1:36 PM

কলকাতা: খাস কলকাতায় ফের ধর্ষণের (Physical Harassment) অভিযোগ। এবার ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কলকাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে প্রগতি ময়দান থানা (Pragati Maidan Police Station) এলাকায়। বিধবা ওই বৃদ্ধাকে ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার পর প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ ৩১ অক্টোবর ওই বৃদ্ধার বাড়িতেও গিয়েছিল। তদন্তের প্রয়োজনে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে পুলিশ।

একটি নীল পাড়, সাদা রঙের শাড়ি তদন্তের প্রয়োজনে বৃদ্ধার বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে পুলিশ। ঘটনার সময়ে ওই বৃদ্ধা এই শাড়িটিই পরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই সময়ে বৃদ্ধার আর যা যা পরনে ছিল, সেই সবও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সঙ্গে একটি মশারিও তদন্তের প্রয়োজনে নিয়ে গিয়েছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।

নির্যাতিতা বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গে এই ঘটনা প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভাইফোঁটা উপলক্ষ্য বাড়ির তিন ভাই সকলেই ফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন। ভাইফোঁটার পরেও কয়েকদিন তাঁরা বাড়ি ছিলেন না। সেই সময়েই রবিবার এই কাণ্ড ঘটায় অভিযুক্ত যুবক। পরিবারের দাবি, বৃদ্ধার শোয়ার ঘরের উপরের টালি খুলে ঘরে ঢুকে মহিলার উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয় । ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বৃদ্ধার ওই ছেলে বাড়ি ফিরে আসেন এবং পরের দিন পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হাঁসখালির ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু ঘটনার তদন্তভার হাইকোর্ট দুঁদে আইপিএস দময়ন্তী সেনের কাঁধে তুলে দিয়েছিল। নারী নির্যাতনের অভিযোগে বার বার অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের শাসক দলের। বিরোধীরা মাঝে মধ্যেই এই নিয়ে আক্রমণ শানান। আর এরই মধ্যে ফের এক ধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নারী নিরাপত্তা।