Recruitment Scam: “৫ হাজার টাকা করে যেত মানিকের কাছে”, ইডির অফিসে ঢোকার আগেই ‘পোল খুললেন’ তাপস
Manik Bhattacharya: কার কাছে যেত সেই টাকা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাপস মণ্ডল বলেন, "নিশ্চয়ই উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত।" কে পাঠাতেন, উনি বলতে কাকে বোঝাতে চাইছেন তিনি? প্রশ্ন করায় উত্তর এল, "মানিক বাবু।"
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আরও সক্রিয় ইডি (Enforcement Directorate)। মানিক ভট্টাচার্য ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে এদিন ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে। বুধবার দুপুর প্রায় পৌনে ১২ টা নাগাদ ইডি অফিসে হাজিরা দেন তিনি। ইডি অফিসে ঢোকার আগে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তাপস মণ্ডল। তিনি জানালেন, “অফলাইনের (ভর্তির) যেগুলি বলেছিলাম, সেগুলি চেয়েছে… আমি দিতে যাচ্ছি।” শুধু তাই নয়, অফলাইনে ভর্তির টাকা মহিষবাথানে তাঁর অফিসে মানিক ভট্টাচার্যকে দেওয়া হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তাপস বাবু বলেন, “অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছিল। আমার স্টাফরা তাই বলেছে। স্টাফরা বলেছে, অফিস থেকেই ফাইল ও টাকা যেত।”
কার কাছে যেত সেই টাকা? “নিশ্চয়ই উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত।” কে পাঠাতেন, উনি বলতে কাকে বোঝাতে চাইছেন তিনি? প্রশ্ন করায় উত্তর এল, “মানিক বাবু।” তাপস মণ্ডল কি জানতেন এই টাকা দেওয়ার বিষয়টি? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, পাঁচ হাজার টাকা করে অফলাইনের ফি তো দিতেই হত।”
তাপস মণ্ডলের সঙ্গে যে মানিক ভট্টাচার্যের যোগাযোগ ছিল, সে কথা আগেই টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছিলেন তাপস বাবু। এবার মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস বাবু বিস্ফোরক দাবি করেন, অফলাইনে ভর্তির ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হত মানিক ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চলত। সেই ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য ফি অনলাইনেই নেওয়া হত। কিন্তু সূত্রের খবর, অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে আসন খালি থাকত, সেগুলিতে অফলাইনে ভর্তি নেওয়া হত। সেই অফলাইন ভর্তির ক্ষেত্রেই এই টাকা নেওয়া হত। আর এবার সেই অফলাইন ভর্তির টাকা নিয়ে ইডি অফিসের বাইরে বিস্ফোরক দাবি করলেন তাপস মণ্ডল। তাপস মণ্ডলের এই স্বীকারোক্তিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে।