Haridevpur Murder: নেশাগ্রস্ত হয়েই খুন! থেঁতলানো দেহ উদ্ধার হওয়ার পর বিহার থেকে ধরা পড়ল অভিযুক্ত
Haridevpur Murder: বিহার থেকে কুন্দন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর খুনের কথা স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। বাকি দুজনের নামও তিনিই জানান পুলিশকে।
কলকাতা : মাথা থেঁতলানো অবস্থায় দেহ পড়েছিল বাথরুমের ভিতর। হরিদেবপুরের সেই খুনের ঘটনায় কে বা কারা অভিযুক্ত ছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। আর এবার সেই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিহার থেকে অভিযুক্তকে ধরতেই বেরিয়ে আসে আরও দুজনের নাম। কয়েকদিন আগেই হরিদেবপুরের একটি বাড়ির বাথরুমে বাপ্পা ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। আর এবার সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দেবরাজ রায়, জিতেন লামা, কুন্দন কুমার নামে তিনজনকে। অভিযুক্তদের আজ তোলা হবে আলিপুর আদালতে। একজনকে বিহার থেকে ও বাকি দুজনকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরই মৃত ব্যক্তির মেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে মদ খাওয়া নিয়েই বচসা হয়েছিল। মদ্যপ অবস্থাতেই খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। হরিদেবপুর থানার জিয়াদার গোট এলাকায় থাকতেন ওই ব্যক্তি।
সূত্র পেয়েই পুলিশের একটি টিম বিহারে গিয়েছিল। সেখান থেকে কুন্দন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর খুনের কথা স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। বাকি দুজনের নামও তিনিই জানান পুলিশকে। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দেবরাজ রায় ও জিতেন লামাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে বাপ্পা ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় তাঁর নিজের বাড়ির দোতলা থেকে। বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। একটি চা পাতা কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে কয়েকদিন ধরে কোনও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর মেয়ে। পরে পাড়া-প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে বাড়িতে যান তিনি। বাবাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। শৌচালয়ে পড়েছিল সেই দেহ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বিছানাপত্র থেকে শুরু করে ঘরের আসবাবপত্র লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়েছিল। ঘরের মেঝেতে অসংখ্য রক্তের দাগও পাওয়া গিয়েছিল। এবার ধৃতদের জেরা করে আসল তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : Akhilesh Yadav: ‘আমরাই দেখালাম বিজেপিরও আসন সংখ্যা কমানো সম্ভব’, দলের ভরাডুবির পরও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর অখিলেশ