৫৭৬ জন শিক্ষকদের বদলির অর্ডারে বড়সড় ভুল, তড়িঘড়ি শুধরে নিল পর্ষদ

ভুল হওয়ার জেরে আটকে যাচ্ছিল শিক্ষকদের বদলি। অবশেষে নড়চড়ে বসে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

৫৭৬ জন শিক্ষকদের বদলির অর্ডারে বড়সড় ভুল, তড়িঘড়ি শুধরে নিল পর্ষদ
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2021 | 4:56 PM

কলকাতা: নতুন করে জটিলতার মধ্যে পড়েছিল শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া। উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে এ রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যে বদলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তার কয়েক মাসের মধ্যে ধরা পড়ল ভুল। বদলির অর্ডারে ভুল থাকায় শতাধিক শিক্ষকদের বদলি আটকে যায়। সেই অভিযোগ সামনে আসতে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সোমবারই সেই বদলির অর্ডারের ভুল শুধরে দেওয়া হয়েছে। ৫৭৬ জনের অর্ডারে বিষয় ভুল লেখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

কিছুদিন আগেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদে বদলির সুবিধার্থে ‘উৎসশ্রী’ নামে এক নয়া প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তৈরি সেই পোর্টালের মাধ্যমে বদলির আবেদন করলে শুরু হয় প্রক্রিয়া। প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বদলির অর্ডার দেওয়া হয়। পোর্টাল চালু হওয়ার পর অনেকেই সেই পথে বদলির আবেদন জানিয়েছেন। অর্ডারও এসেছে বেশ কয়েকজনের কাছে। তার মধ্যে অনেকেই দেখেন নামের পাশে রয়েছে ভুল বিষয়ের উল্লেখ। অর্থাৎ কেউ পদার্থিবিদ্যার শিক্ষক, তাঁর নামের পাশে লেখা হয়েছে ইংরেজি। আবার অঙ্কের শিক্ষকের নামের পাশে লেখা ইতিহাস।

নিয়ম অনুযায়ী, এই বিষয়ের শিক্ষকেরাই মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। ফলে, বিষয় ভুল হওয়ায় বদলির প্রক্রিয়াটাই আটকে যাচ্ছে। এই ভুলের কথা প্রকাশ্যে আসতে নড়েচড়ে বসেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সোমবার বিকেলেই সেই ভুল শুধরে দেওয়া হল পর্ষদের তরফে। আগে মেলের মাধ্যমে অর্ডার গিয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে। এবার নতুনকরে বিষয় বদলে অর্ডার পাঠানো হল তাঁদের কাছে। পর্ষদের তরফ থেকে ভুলের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তবে জানানো হয়েছে, যে এটি একটি সিস্টেম জেনারেটেড ভুল অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত ভুল নয়, প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে এই ভুল হয়েছে।

যে সব শিক্ষক বা শিক্ষিকার বদলির প্রয়োজন, তাঁরা যাতে সহজেই অনলাইনে আবেদন করতে পারেন, তার জন্যই এই পোর্টাল চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদনের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

একই বিদ্যালয়ে একটানা পাঁচ বছর কাজ করার পরই কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা আবেদন করতে পারবেন। একবার বদলি হয়ে গেলে তারপর পাঁচ বছর আর আবেদন করা যাবে না। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি আগে বদলির নির্দেশ পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়ে থাকেন, তাহলে পরের সাত বছর আর আবেদন করতে পারবেন না। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি সাসপেন্ড হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর আবেদন করার সুযোগ নেই। কারও বিরুদ্ধে যদি বিভাগীয় তদন্ত চলে তাহলেও তিনি আবেদন করতে পারবেন না। এমপ্লয়ি আইডি ও প্যান কার্ড নম্বর জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে ওই পোর্টালে। আরও পড়ুন: ‘তিন বছর পর কেন তদন্ত শুরু হল? কোনও বিশেষ কারণ?’ দেহরক্ষী খুনের মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতির