কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একদিকে যখন তদন্ত চলছে, তারই মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়ল প্রাথমিক টেটে। আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। তার আগে প্রায় ৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়ল। বৃহস্পতিবার ছিল টেটের আবেদন করার শেষ দিন। সূত্রের খবর, সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও আবেদন জানানোর চেষ্টা করেছিলেন কেউ কেউ।
এর আগে ২০১৭ সালে ২ লক্ষের কিছু কম চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। মাঝে ৫ বছর কোনও টেট পরীক্ষা হয়নি। ফলে চাকরি প্রার্থীরা অপেক্ষা করছিলেন এই পরীক্ষার জন্য। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই আবেদন করেন তাঁরা। অনলাইনেও আবেদনের সুযোগ ছিল এবার।
মূলত টেট পাশ করা ও প্রশিক্ষিত প্রার্থীদেরই আবেদন জানানোর কথা বলা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। পরে জানানো হয় শারীর শিক্ষায় ডিগ্রি থাকলেও এই পরীক্ষায় বসা যাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, শূন্যপদের সংখ্য়া মাত্র ১১ হাজার ৭৬৫। সেই পদে চাকরির জন্যই লড়াই করবেন ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। গত কয়েক বছরে নিয়মিত টেট পরীক্ষা না হওয়ার ফলেই এভাবে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৪ ও ২০১৭- টেট উত্তীর্ণরা ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছেন। বঞ্চনার অভিযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল আগেই। আর এবার টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০১৮-র উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দাবি জানান, তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে, তাঁরা কোনও পরীক্ষা দেবেন না। অন্যদিকে, ২০১৭-র প্রার্থীরা দাবি করেছেন, তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়ে টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন, তাই তাঁদের অগ্রাধিকার প্রাপ্য। সুতরাং পরীক্ষা হলেও টেট নিয়ে জটিলতা পুরোপুরি কেটেছে, তা বলা যায় না।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছিলেন, তাঁরা সবাই অংশ গ্রহণ করতে পারবেন ২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায়। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য এই নির্দেশ।