টিউশন পড়তে গিয়ে অপহৃত কিশোরী, ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে উড়োফোন এল রাতে
রাতের দিকে আচমকাই কিশোরীর নম্বর থেকেই ফোন আসে, কিন্তু কিশোরীর কন্ঠস্বরের বদলে শোনা যায় অন্য একটি গলা। ফোনে জানানো হয়, অপহরণ করা হয়েছে কিশোরীকে। মুক্তিপণ হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন অপহরণকারী।
কলকাতা: বিকেলবেলায় বাড়ি থেকে পড়তে বেরিয়েছিল নারকেলডাঙা মেইন রোডের বাসিন্দা এক কিশোরী। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি সে। রাতে হঠাৎই উড়ো ফোনে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ চেয়ে কিশোরীর অপহরণের দাবি করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিস ও লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বুধবার বিকেলে। বাড়ি থেকে টিউশনে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ১৭ বছরের এক কিশোরী। ব্যাগে ছিল ল্যাপটপও। অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। আশেপাশের এলাকায় খোঁজখবর করেও কোনও লাভ না হওয়ায় তাঁরা পুলিসের দারস্থ হন।
নারকেলডাঙা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই কিশোরীর বাড়ির লোক। এরপরই রাতের দিকে আচমকাই কিশোরীর নম্বর থেকেই ফোন আসে, কিন্তু কিশোরীর কন্ঠস্বরের বদলে শোনা যায় অন্য একটি গলা। ফোনে জানানো হয়, অপহরণ করা হয়েছে কিশোরীকে। মুক্তিপণ হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন অপহরণকারী।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট ভাল নয়’ প্রশাসনকে কড়া বার্তা জৈনের
ফোন রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির লোক পুলিসে ফোন করেন, সমস্ত বিষয়টি জানান। খবর দেওয়া হয় লালবাজারেও। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহৃত ওই কিশোরীর বাবার চটির ব্যবসা। খুব একটা বিত্তশালীও নন তাঁরা। মুক্তিপণের জন্য এত টাকা দাবি গিরেও তৈরি হয়েছে সন্দেহ। এর পিছনে প্রণয়ঘটিত কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পুলিস।
আরও পড়ুন: শহরবাসীর অবসাদ কাটাতে শীঘ্রই হেল্পলাইন নম্বর চালু কলকাতা পুলিসের