Abdus Sattar: কংগ্রেস ছেড়ে মমতা সরকারের সংখ্যালঘু দফতরের উপদেষ্টা হলেন বাম জমানার মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার
Abdus Sattar: উল্লেখ্য, সোমবার রাতেও আব্দুল সাত্তারের সঙ্গে ভোট ও সংগঠন নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভার আসন্ন উপনির্বাচনে সাত্তারকে গত ২৫অক্টোবর পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সংক্রান্ত মুখ্য উপদেষ্টার পদে যোগ দিয়েছেন এক সময়ের বাম জমানার মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার। আর সেই পদে যোগ দিতেই কংগ্রেস ছাড়লেন তিনি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। আর মমতা সরকারের দফতরের মুখ্য উপদেষ্টা পদে যোগ দেওয়ার পর সিপিএম-তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে ফেলে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘ফিশ ফ্রাই’ রাজনীতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।
বামফ্রন্ট সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার এই নেতা। ২০১৮ সালে হঠাৎই কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। সোমেন মিত্র শেষ বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর একদিন হঠাৎ করেই বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে আব্দুস সাত্তারের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বেরই একাংশ বলেন, কংগ্রেসের কোনও কর্মকাণ্ডে কচিৎ কদাচিৎ দেখা যেত সাত্তারকে। কিন্তু অধীর জমানায় তাঁকে সহ সভাপতি করা হয়েছিল। মুসলিমদের ওবিসি কোটা বাড়ানো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আব্দুস সাত্তার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, সে কারণেই এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁকে দিল মমতা সরকার।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতেও আব্দুল সাত্তারের সঙ্গে ভোট ও সংগঠন নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভার আসন্ন উপনির্বাচনে সাত্তারকে গত ২৫অক্টোবর পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। কিন্তু সেই দায়িত্ব নিতে চাননি। সাংবাদিক বৈঠকে দল ছেড়ে যাওয়াদের দলে ফেরার আহ্বানও জানিয়েছিলেন শুভঙ্কর। কিন্তু তারই মধ্যে দলে আবারও বড় ‘ভাঙন’।
তবে আব্দুস সাত্তার যেহেতু কলেজ পড়ান, তাই সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রধান উপদেষ্টা পদে যোগ দিতে হলে কলেজ থেকে Lien নিতে হবে। না হলে সেটা ‘Office of Profit’এর আওতায় পড়ে যাবে। কারণ সরকারের কাছ থেকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান বেতন এবং কলেজ অধ্যাপকের বেতন একসঙ্গে নিতে পারবেন না।