Post Poll Violence Case: হোমগার্ডকে ‘চড়’, অন্তবর্তী জামিন পেলেন বিজেপি নেতা
Abhijit Murder Case: অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ হস্তান্তর নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে এনআরএস হাসপাতালে।
কলকাতা : কাঁকুড়গাছিতে খুন হওয়া বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ এনআরএস হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার দিন এক হোমগার্ডকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা তথা চৌরঙ্গীর বিজেপি প্রার্থী দেবদত্ত মাজির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয় এন্টালি থানায়। সেই মামলায় শিয়ালদহ আদালত তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হল। আগামী ১ অক্টোবর তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিশ্চিত করতে হবে।
ঘটনাটি ৯ সেপ্টেম্বরের। অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ হস্তান্তর নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে এনআরএস হাসপাতালে। অভিযোগ, দেহ দিতে দেরি হওয়ায় এক বিজেপি নেতা পুলিশের গায়ে হাত তোলেন। ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন এক হোমগার্ডকে। যা ঘিরে বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
পরে অন্যান্য দলীয় নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। যদিও চড় মারার অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এইটা আবেগঘন অবস্থা।” সেখানে পুলিশের ভূমিকা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাই প্রশ্নের অবকাশ রাখে। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন এই দেবদত্ত।
চার মাস ধরে মর্গে শোওয়ানো ছিল বেলেঘাটার বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকারের দেহ। তদন্তের স্বার্থে দেহ রাখতে হয় সেখানে। এরপর শিয়ালদহ আদালত নির্দেশ দেয় অভিজিৎ সরকারের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে হবে। সেদিন পাঁচটা নাগাদ এনআরএস হাসপাতালের সুপারের কাছে সেই আদালতের নির্দেশের কপি জমা দিয়ে যান অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার।
কিন্তু অভিযোগ, যখন বিশ্বজিৎ সরকার সমস্ত নথিপত্র নিয়ে মর্গের অফিসে যান, দীর্ঘ সময় নানা টালবাহানা করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। দেহ দিতে দেরী করা হয়। বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ ছিল, পুলিশ চাইছে এ ভাবে দেহ সরিয়ে দিতে। সেই সময়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
এরপরই দ্বিতীয় বার যখন তাঁরা মর্গে ঢুকতে যায় তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই সময় চৌরঙ্গি কেন্দ্রে যিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সেই দেবদত্ত মাজি পুলিশকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। মর্গের ভিতরে ঢোকেন তিনি। সেখানে একজন হোমগার্ড ছিলেন, তাঁকে দেবদত্ত চড় মারেন বলেও অভিযোগ। এরপরই পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে।
আইনজীবী ও বিজেপি কর্মী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপরই ফের ভিতরে গিয়ে নিয়ম মাফিক কাগজপত্র জমা দিয়ে মৃতদেহ পান অভিজিৎ সরকারের পরিবার। সেই ঘটনাতেই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়।