কলকাতা: পার্থ ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। এবার হাল ধরছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার বসবেন আন্দোলনরত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে। ধর্নার পাঁচশো এক নম্বর দিনে আন্দোলনকারীদের ফোনে কথা বলেন তিনি। তারপর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন অভিষেক। বৃহস্পতিবারই চাকরিপ্রার্থী শহিদুল্লাহর সঙ্গে কথা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শহিদুল্লাকে নিজেই ফোন করেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, সমস্যার কথা শুনবেন, সমাধান করারও চেষ্টা করবেন তিনি।
কলকাতার মেয়ো রোডে গত পাঁচশো দিন ধরে টানা আন্দোলনে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এসএসসি দুর্নীতির জাল যে কতদূর বিস্তৃত, তা দেখে হয়তো হতবাক তাঁরাও। তবে এখানেই তাঁদের লড়াই শেষ নয়। চাকরি পাওয়ার আশায় এখনও অবস্থানে তাঁরা। বৃহস্পতিবার আচমকাই তাঁদেরই এক জনের কাছে ফোন যায়। ফোন করেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন ধরে যে দাবি তাঁরা জানিয়ে আসছিলেন, তা যেন এবার সফল হওয়ার পথে। অর্থাৎ এতদিনে হেভিওয়েট কেউ তাঁদের মুখোমুখি বসে কথা শুনবেন। তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনবেন। শুধু তাই নয়, যে দাবিতে অনশন দীর্ঘদিন মুখে দানা পানি কাটেননি তাঁরা, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস যেচে এল একটি ফোনেই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে একজন হেভিওয়েট নেতা তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনবেন বলে ফোনে জানালেন। শুক্রবার বেলায় তাঁরা মুখোমুখি বসবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের এতদিনের অভিযোগ শুনবেন। কিন্তু সচেতকরা বলছেন, এতদিনে কি তবে টনক নড়ল প্রশাসনের? আগেও তো এই চাকরিপ্রার্থীরা বারবার প্রশাশনের কাছে পৌঁছতে চেয়েছিলেন নিজেদের অভিযোগ জানাতে, সেক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থী টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তবে এতদিনে কেন? নাকি পার্থ ইস্যুর পর শাসকদলের মুখ রক্ষার দায় এখন বর্তেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই?তিনি কি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন? প্রশ্ন সচেতকদের।