কলকাতা: ৪-৫ দিনের মধ্যে কিছু আবার কিছু একটা হবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে এমনটাই বললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু অভিষেক নয়, একই সুর শোনা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। এ দিনের সভার পর ফের কেন্দ্রীয় সংস্থা তৎপর হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতাও।
গত ২১ জুলাই তৃণমূলে শহিদ দিবসের ঠিক পরের দিন ভোরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারীর বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারপরই গ্রেফতার হন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ। তৃণমূলের তরফে এই ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রথম থেকেই। আর এ দিন অভিষেক দাবি করলেন, সোমবারের সমাবেশ দেখার পরই ফের কিছু একটা ঘটতে পারে।
তিনি দাবি করেন, পার্থর বাড়িতে তল্লাশি তালাতে ইডি ২২ জুলাইয়ের বদলে অন্য কোনও দিনও যেতে পারতেন। তাই অভিষেকের কথায়, ‘ এত বড় সমাবেশ, ৪-৫ দিনের মধ্যে আবার কিছু একটা হবে।’
এ দিন অভিষেকের পর মঞ্চে বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিরোধীদের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তিনিও। সেই সঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অভিষেক খুব ভাল বক্তব্য রেখেছে, তাই এই সমাবেশের পর তাঁর বাড়িতেও সংস্থার নোটিস যেতে পারে। কয়লা কেলেঙ্কারিতে আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল অভিষেককে। সে কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘আমার মন বলছে, ওকে কাল না নোটিস ধরায় আবার। আগে তো ওকে নোটিস ধরিয়েছে, ওর বউকেও নোটিস ধরিয়েছে। এবার বোধ হয় ২ বছরের বাচ্চাটাকেও নোটিস ধরাবে।’
শুধু অভিষেক নয়, ফিরহাদ হাকিমকে নিয়েও আশঙ্কার কথা শোনা যায় মমতার মুখে। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ যদি দেখেন ববির অত সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, বুঝবেন সব সাজানো।’ উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ে। তিনি বলেছিলেন, ‘তৃণমূলে একজন হাকিম আছেন। তাঁকে ভিতরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করছি।’ মমতা, অভিষেকের কথায় যে আশঙ্কার সুর শোনা গিয়েছে, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল জানে কী হতে চলেছে, কাকে গ্ৰেফতার করা হবে, কারণ কত সম্পতি, কত চুরি তা তৃণমূল জানে। অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন, ববি ও অভিষেকের নাম মমতা বললেন, কারণ তিনি হয়ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে নামগুলো জেনে এসেছেন।