Abhishek Banerjee: ‘প্যাকেট নিয়ে ঢুকছে, খালি হাতে বেরচ্ছে’, ৫২ মিনিটের ‘হাইকোয়ালিটি’ ফুটেজ আদালতে জমা দিতে চান অভিষেক
Abhishek Banerjee: সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, এনআইএ'র এসপি ধনরাম সিং-এর প্যাকেট হাতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। এই বিষয় সামনে আসার পরই অফিসার বদলের আর্জি কমিশনের কাছে জানিয়েছে তৃণমূল।
কলকাতা: এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিং-এর বাড়ির ভিজিটার্স বুকে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম। সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই সোমবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের বাইরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ধরনায় বসেছিল। সেই ধরনা থেকেই তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। টেনে-হিঁচড়ে বাসে তোলা হয় বলে অভিযোগ। দোলা সেন, ডেরেক ও ব্রায়েন সহ সেই প্রতিনিধি দল বর্তমানে রয়েছে আনন্দ মার্গ থানায়। তার মধ্যেই আরও বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর দাবি, জিতেন তিওয়ারি কখনও ঢুকেছিলেন এনআইএ অফিসারের বাড়িতে, সেই ফুটেজ রয়েছে তাঁর কাছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিং-এর প্যাকেট হাতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। এই বিষয় সামনে আসার পরই অফিসার বদলের আর্জি কমিশনের কাছে জানিয়েছে তৃণমূল। সেই সম্পর্কিত প্রমাণও কমিশনে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি অভিষেকের।
অভিষেক বলেন, “হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে ফুটেজ জমা দেব। আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারলে কর। ৫২ মিনিটের হাই কোয়ালিটি ফুটেজ আছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি হাতে প্যাকেট নিয়ে ঢুকেছেন আর খালি হাতে বেরিয়েছেন। আমাদের হাতে তথ্য রয়েছে। অভিষেকের আরও দাবি, সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে এনআইএ আধিকারিকের বাড়িতে আপ্যায়ন করা হচ্ছে বিজেপি নেতাকে, শুধু তাই নয়, তাঁকে নীচ পর্যন্ত এগিয়েও দিচ্ছেন কেউ।” অভিষেক দাবি করেন, তাঁর মোবাইলেও সেই ফুটেজ রয়েছে। কিন্তু যেহেতু বিচারাধীন বিষয়, তাই তিনি সেটা সময় মতো প্রকাশ করবেন।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, সাতদিনের মধ্যে অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে তৃণমূলকে। এদিন অভিষেকের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি তো প্রমাণ চেয়েছেন। তাঁর কথার কি কোনও মূল্য নেই? উনি তো তৃণমূলেরই প্রতিনিধি ছিলেন। চোখের মণি ছিলেন। আজ পর হয়ে গেলেন! বিজেপি ছেড়ে দিলেন বলে গদ্দার হয়ে গেলেন! প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না।”