Abhishek Banerjee: ‘আমি কেন অভিষেকের পক্ষে বলেছি, আমাকে ফোন করে থ্রেট করেন ব্রাত্য’, মুখ খুললেন কে?
Abhishek Banerjee: দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, যিনি দলের তরফে শিক্ষক সংগঠনগুলির দায়িত্বে রয়েছেন, ব্রাত্য বসু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বহিষ্কারের নির্দেশ অতি দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে এই নির্দেশ নিঃসন্দেহেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ দুই শিক্ষক সংগঠনের নেতা বহিষ্কৃত। দলবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে ওয়েবকুপার সহ সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল ও প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা প্রীতম হালদার। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, যিনি দলের তরফে শিক্ষক সংগঠনগুলির দায়িত্বে রয়েছেন, ব্রাত্য বসু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বহিষ্কারের নির্দেশ অতি দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে এই নির্দেশ নিঃসন্দেহেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দুই নেতাই দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট করেন। সূত্রের খবর, দল বিরোধী কাজের পাশাপাশি, তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আর্থিক বেনিয়মেরও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছে দলেরই একাংশ।
যদিও বহিষ্কৃত দুই শিক্ষক নেতার বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, অভিষেকের হয়ে সওয়াল করার জন্যই তাঁরা দলের কোপে পড়েছেন। আগামী দিনে বড় রদবদলের আগেই এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বহিষ্কৃত দুই শিক্ষক নেতাই TV9 বাংলার কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষক নেতা মণিশঙ্করের বিস্ফোরক মন্তব্য, “নারী নির্যাতন, সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে যে বিজেপির প্রোপাগান্ডা সামনে এনেছিল, তিনি হলেন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণেই বিপুল জয়ের পর মমতার আদর্শ মাথায় নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নেতৃত্বের জয়জয়কার করেছিলাম। গেম চেঞ্জার দাদা অ্যাখ্যা দিয়ে কলকাতা ব্যানার লাগিয়েছিলাম। ব্রাত্য বসু আমাকে ফোন করে থ্রেট করেন, কেন আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে বলছি। সতর্কবাণী দেন, আমি যেন এই ধরনের কাজ না করি। তিনি এও বলেন, আমার জন্যই নাকি ওঁর পদ চলে যেতে পারে। আমাকে সতর্ক করা হয়েছিল, আমি যদি এরকম করি, তাহলে আমাকে বহিষ্কার করা হবে। তার প্রমাণও আমার কাছে রয়েছে। আমি এই ধরনের ছোটখাটো নেতাদের হুমকিতে ভয় পাই না।”
বহিষ্কৃত আরেক শিক্ষক নেতা প্রীতম হালদারের বক্তব্য, “আমরা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হয়ে কিছু কিছু পোস্ট আমরা সামাজিক মাধ্যমে করি। অভিষেকপন্থী হওয়ার কারণেই কি খড়্গ নেমে এল, জানি না। শিক্ষামন্ত্রী প্রতিহিংসামূলক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চাইলেন। আমাদের ডাকা হল না, কথা শোনা হল না।”