AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Abhishek Banerjee: কেন সভাপতির পদ থেকে অপসারিত সুদীপ-কেষ্ট? ৪৮ ঘণ্টা বাদে কারণ ব্যাখ্যা অভিষেকের

Abhishek Banerjee: অভিষেকের কথায়, "যেখানে যা পরিবর্তন আমাদের নেত্রীর অনুমোদনে হয়েছে। কোথায় কে থাকবেন, না থাকবেন, বিগত দিনে তাঁরা কেমন কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এমপি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জেলা স্তর থেকে সরিয়ে রাজ্য স্তরে আনা হয়েছে।"

Abhishek Banerjee: কেন সভাপতির পদ থেকে অপসারিত সুদীপ-কেষ্ট? ৪৮ ঘণ্টা বাদে কারণ ব্যাখ্যা অভিষেকের
বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 19, 2025 | 12:57 PM
Share

কলকাতা: সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল। উত্তর কলকাতার সভাপতি পদ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসরণ ও বীরভূমের সভাপতির পদ থেকে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে সরানো নিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক স্তরে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে তাহলে কি তৃণমূল কোনও ব্যক্তিবিশেষের ওপর নয়, কোর কমিটির ওপরেই আস্থা রাখছে? পরিবর্তন করা হয়েছে, একাধিক চেয়ারম্যান পদেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন এই সিদ্ধান্ত, সে কথা কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান তিনি।

অভিষেকের কথায়, “যেখানে যা পরিবর্তন আমাদের নেত্রীর অনুমোদনে হয়েছে। কোথায় কে থাকবেন, না থাকবেন, বিগত দিনে তাঁরা কেমন কাজ করেছেন, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এমপি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জেলা স্তর থেকে সরিয়ে রাজ্য স্তরে আনা হয়েছে। তাঁরা রাজ্য স্তরে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, সহ সভাপতি হয়েছেন, কেউ সম্পাদক হয়েছেন। যাঁরা এতদিন জেলা স্তরে কাজ করেছেন, তাঁরা রাজ্য স্তরে কাজ করবেন।”

অভিষেক জানান, এই রদবদলের পিছনে কাউকে বিশেষ সুযোগ দেওয়া কিংবা কাউকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হল, সেরকম কোনও কারণ নেই। তবে তিনি বলেন. “অনেককে জেলাস্তরে নতুন করে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা খুব ভালো চেষ্টা করেছে, কিন্তু আশানুরূপ ফল করতে পারেনি, তাঁদেরকেও পুরস্কৃত করেছি অনেক জায়গায়।”

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে নাম উল্লেখ করে তিনি বিশেষভাবে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল কোর কমিটিতে থাকবেন। বীরভূমে কোর কমিটির মিটিংও হয়েছে। উত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারম্যান রয়েছেন। সেখানে সাত জন বিধায়ক, তাঁদের সঙ্গে আরও দুজন, ট্রেড ইউনিয়নের স্বপন সমাদ্দার ও জীবন সাহা সংযোজিত করা হয়েছে। ৯ জনের কোর কমিটি করা হয়েছে। টিম ওয়ার্ক করে কাজ করবে। কার ক্ষমতা খর্ব হল, কাকে বেশি পুরস্কৃত করা হল, সেভাবে দেখা ঠিক নয়।”

উল্লেখ্য, সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সভাপতি পদে থাকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে একটি কোন্দল তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলে থাকাকালীন আগেই এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তাপস রায়। একটা সময়ে সরব হন কুণাল ঘোষও। তাই প্রাথমিকভাবে সুদীপের অপসারণের পিছনে এই তত্ত্বও উঠে এসেছিল। বীরভূমে কোর কমিটি আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছিল। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পরই কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতর প্রত্যাবর্তনের পর সেই কমিটিরই সদস্য করা হয়েছে তাঁকে। তুলে দেওয়া হয়েছে বীরভূমের সভাপতির পদ!