BJP All India President: নাড্ডার জায়গায় বিজেপির শীর্ষ পদে এবার কে? চর্চায় এগিয়ে যাঁরা…

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 11, 2024 | 1:47 PM

BJP All India President: ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেই সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ শেষ হয়েছিল জেপি নাড্ডার। কিন্তু লোকসভা ভোটের কারণে মেয়াদ বৃদ্ধি হয় তাঁর। তৃতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। ফলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরছেন তা নিশ্চিত।

BJP All India President: নাড্ডার জায়গায় বিজেপির শীর্ষ পদে এবার কে? চর্চায় এগিয়ে যাঁরা...
জেপি নাড্ডা।
Image Credit source: PTI

Follow Us

কলকাতা: নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয়বারের মন্ত্রিসভায় নিঃসন্দেহে বড় চমক জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। এতদিন তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ সামলেছেন। এবার তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জেপি নাড্ডা মন্ত্রী হতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে, এবার তাহলে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে কে বসবেন?

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেই সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ শেষ হয়েছিল জেপি নাড্ডার। কিন্তু লোকসভা ভোটের কারণে মেয়াদ বৃদ্ধি হয় তাঁর। তৃতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। ফলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরছেন তা নিশ্চিত।

এহেন আবহে পরবর্তী সভাপতি হিসাবে চর্চায় উঠে এসেছেন সুনীল বনশল। যিনি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকও। সেই সঙ্গে ওড়িশা ও তেলেঙ্গানায় দলের শ্রীবৃদ্ধির দায়িত্বে রয়েছেন একদা উত্তর প্রদেশে বিজেপির সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারী।

বনশল একদিকে অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ, আবার আরএসএসের প্রচারক হিসাবেও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন। বর্তমানে বনশল বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ধাপে ধাপে সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে দিয়ে বিজেপিতে উত্তরণ ঘটেছে মহারাষ্ট্রের বিনোদ তাওড়েরও। বর্তমানে বনশলের মতোই তাওড়েও বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। একদা মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। এবিভিপির মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি।

চলতি বছরের শেষেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে কোনও মারাঠা বিজেপির প্রধান মুখ হলে মহারাষ্ট্রের ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে, তা-ও আলোচনায় রয়েছে বিজেপির অন্দরে। লো প্রোফাইলে থাকা ওম মাথুরের নামও পদ্ম শিবিরের প্রধান মুখ হিসাবে ঘোরাফেরা করছে। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে দক্ষ এই নেতা গুজরাট ও উত্তর প্রদেশে দলের কাজে সফল হয়েছেন।

এমনকী ২০২৩ সালে ছত্তীসগঢ়ে যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে বলে একটি বড় অংশ ধরে নিয়েছিল, সেই সময় মাথুরের স্ট্র্যাটেজি সেখানে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তা অস্বীকার করেন না বিজেপি নেতারাও। সেই সঙ্গে ওম মাথুরের সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কও বেশ মজবুত, সেটাও মনে করাচ্ছেন কোনও কোনও বিজেপি নেতা।

আবার দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানো অনুরাগ ঠাকুরের নামও দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের প্রধানের চেয়ারে বসার ক্ষেত্রে উঠে আসছে। যুব সভাপতি হিসাবে গোটা দেশেই কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সঙ্গে প্রশাসনিক কাজও সামলেছেন অনুরাগ। তাই তিনি সভাপতি হলেও মন্দ হবে না বলছেন অনেকেই।

স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ওম বিড়লাও বিজেপির সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ঢুকে পড়েছেন। রাজস্থানের কোটা থেকে ২০২৪ সালে আবারও সাংসদ হওয়া ওম বিড়লার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের মজবুত সম্পর্কের রসায়ন এই লড়াইয়ে প্রাক্তন স্পিকারকে অগ্রসর করেছে বলেই খবর।

দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে রয়েছেন বিএল সন্তোষ। তাঁর নামও সভাপতির চর্চা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে বিজেপির সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে কোন রাজ্যের বাসিন্দা, দেশের কোনও প্রান্তে তিনি কাজকর্ম করেছেন, তা যেমন বড় বিষয় হিসাবে কাজ করবে, তেমনই মোদী শাহের আস্থাভাজন কি না তা-ও সভাপতি বাছাইয়ে অন্যতম প্যারামিটার বলে অনেকেরই মত। সেই সঙ্গে আরএসএস-এর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন, সংঘ তাকে কতটা পছন্দ করবে সেগুলোও পদ্ম-সংগঠনে নতুন প্রধান হওয়ার পিছনে কাজ করবে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের।

Next Article