Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের মতো মাথার উপর বিপদ একাধিক স্টেশনে, দুর্ঘটনা রুখতে কোমর বাঁধল রেল
Burdwan: সম্প্রতি বর্ধমান জংশনে ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে থাকা একটি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। যা খবর, ১৮৯০ সালে এই ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ শতবর্ষ প্রাচীন তা। ভয়ঙ্কর সেই দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা যান। ৩৯ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও বেশ কিছু প্রাণহানি হতে পারত বলেই দাবি করেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। শুধু বর্ধমানই নয়, এমন বহু রেলস্টেশন রয়েছে, যেখানে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল জলের ট্যাঙ্ক।
কলকাতা: বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ের পর বড় সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের। পূর্ব রেলের স্টেশন চত্বর ও প্ল্যাটফর্ম চত্বরে থাকা জলের ট্যাঙ্কগুলিকে ভাঙার কাজ শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তিনটি ডিভিশনে ১২টি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে প্ল্যাটফর্মে। হাওড়া ডিভিশনে ৩, আসানসোল ডিভিশনে ৮, মালদহ ডিভিশনে ১। এছাড়াও স্টেশন চত্বরে থাকা ৪৮ জলের ট্যাঙ্কও ভেঙে ফেলা হবে। যার মধ্যে শিয়ালদহে ৭, আসানসোল ২৩, হাওড়ায় ১৪, মালদহ ৪। আগামী এক বছরের মধ্যেই সেগুলি ভেঙে ফেলা হবে। যতক্ষণ না এগুলি ভাঙা হচ্ছে, আপাতত কম জল ভরে রাখা হবে।
দরকার হলে দিনে দু’বার জল ভর্তি করা হবে ট্যাঙ্কগুলিতে। কোনওরকম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না তা দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে পূর্ব রেলের তরফে। এছাড়াও বেশ কিছু জলের ট্যাঙ্ককে মার্ক করা হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেগুলিকেও ভাঙবে রেল।
সম্প্রতি বর্ধমান জংশনে ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে থাকা একটি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। যা খবর, ১৮৯০ সালে এই ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ শতবর্ষ প্রাচীন তা। ভয়ঙ্কর সেই দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা যান। ৩৯ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও বেশ কিছু প্রাণহানি হতে পারত বলেই দাবি করেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। শুধু বর্ধমানই নয়, এমন বহু রেলস্টেশন রয়েছে, যেখানে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল জলের ট্যাঙ্ক। এখনও সেগুলি পরিষেবা দিচ্ছে। তবে বর্ধমানের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভাবনাচিন্তার সময় এসেছে প্রাচীন এই জলের আধারগুলি নিয়ে।