৮ বছর পর মিলল বিচার! সংগ্রামপুর বিষমদ-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত খোঁড়া বাদশা, বেকসুর খালাস স্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jul 31, 2021 | 7:17 PM

Sangrampore Hooch Case: ২০১১ সালের  ১৫ ডিসেম্বর মগরাহাট ও উস্তি থানার বিস্তীর্ণ এলাকায় চোলাই মদ খেয়ে মৃত্য়ু হয় প্রায় ১৭৩ জনের। পঙ্গু হয়ে যান প্রায় শতাধিক মানুষ।

৮ বছর পর মিলল বিচার! সংগ্রামপুর বিষমদ-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত খোঁড়া বাদশা, বেকসুর খালাস স্ত্রী
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: দীর্ঘ ৮ বছর পর! বিচার পেতে দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে সংগ্রামপুরের সেই সব পরিবারকে। বিষমদের জেরে যাঁরা হারিয়েছেন নিজের পরিজনদের। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সংগ্রামপুর বিষমদ-কাণ্ডের (Sangrampore Hooch Case) আরও একটি মামলার রায় ঘোষণা করল আলিপুর আদালত। বিষমদ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত  নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বেকসুর খালাস পেলেন নুর ইসলামের স্ত্রী শাকিলা বিবি।

২০১১ সালের  ১৫ ডিসেম্বর মগরাহাট ও উস্তি থানার বিস্তীর্ণ এলাকায় চোলাই মদ খেয়ে মৃত্য়ু হয় প্রায় ১৭৩ জনের। পঙ্গু হয়ে যান প্রায় শতাধিক মানুষ। ঘটনায় মগরাহাট ও উস্তি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালে বিষমদ-কাণ্ডে (Sangrampore Hooch Case) জেলা পুলিশের হাত থেকে সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেয় রাজ্য় সরকার। সেই তদন্তে নাম উঠে আসে নুর ইসলাম ওরফে খোঁড়া বাদশার। জানা যায়, খোঁড়া বাদশার আস্তানা থেকেই ওই চোলাই মদ চালান হত। খোঁড়া বাদশা ও তাঁর স্ত্রী-সহ মোট নয়জন অভিযুক্তকে বিষমদ-কাণ্ডে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৭, ৩২৬, ৩২৮,২৭২ এবং ২৭৩ ধারাতে এবং পশ্চিমবঙ্গ আবগারি আইনের ৪৬৯(এ) ধারায় দু’মাসের মধ্যে চার্জশিট দেয় সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল। ২০১৮ সালে উস্তি মামলায় সাজা ঘোষণা হয়। সেই মামলায় তাতে খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী। তবে বেকসুর খালাস পান স্ত্রী শাকিলা বিবি-সহ অন্যান্য অভিযুক্তেরা।

শনিবার, আলিপুরের ষষ্ঠ দায়রা বিচারক মগরাহাটের মামলায় খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এই মামলাতেও তাঁর স্ত্রী শাকিলা বিবি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এই মামলায় মোট ন’জনকে অভিযুক্ত করে বিচার প্রক্রিয়া চলছিল। সরকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বলেন,”সোমবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী হিসেবে আমরা চেয়েছি দোষীরা সাজা পাক৷ মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হয়ে যাচ্ছে।” আরও পড়ুন: ‘হেডস্যারের মেয়ে হলে এমন করতে পারত!’, স্কুলের ‘গাফিলতি’, খেসারত দিলেন পড়ুয়ারা!

 

 

Next Article