শেষ কিস্তির পরই শো-কজ আলিমুদ্দিনের! ‘মাননীয়ার প্রসঙ্গ আসা স্বাভাবিক’, মুখ খুললেন অজন্তাও

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Jul 31, 2021 | 6:38 PM

শেষ কিস্তি প্রকাশ পাওয়ার পরই পাকাপাকিভাবে শো-কজের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বাম নেতৃত্ব।

শেষ কিস্তির পরই শো-কজ আলিমুদ্দিনের! মাননীয়ার প্রসঙ্গ আসা স্বাভাবিক, মুখ খুললেন অজন্তাও
'জাগো বাংলা'য় অজন্তার লেখা

Follow Us

কলকাতা: তৃণমূল মুখপত্রে ধারাবাহিক কলাম লেখায় অনিল-কন্যা অজন্তা বিশ্বাসকে এ বার শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিন মনে করছে, অজন্তা ‘জাগোবাংলা’য় লেখা প্রকাশ করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএমের অধ্যাপক এবং গবেষকদের ইউনিট। যদিও অজন্তার কাছে এখনও শো-কজের চিঠি গিয়ে পৌঁছয়নি। অন্যদিকে, গত তিনদিন যাবৎ এই নিয়ে টানা বিতর্ক চলার পর শনিবার অজন্তার নিবন্ধের শেষ কিস্তি প্রকাশ পেয়েছে। তারপরই আত্মপক্ষ সমর্থনে একটি বিবৃতি দিয়েছেন অনিল-কন্যা।

চারটি কিস্তিতে প্রকাশিত এই লেখার শেষ পর্বে কী প্রকাশ পায় সেদিকেই নজর আটকে ছিল রাজনৈতিক মহলের। শনিবার প্রকাশিত শেষ পর্বে বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসার ছোঁয়া তো ছিলই, পাশাপাশি সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়েও বেশ কিছু শব্দ অজন্তা খরচ করেন। ওই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জননেত্রী বলেই বর্ণনা করেছেন বিখ্যাত বাম নেতার মেধাবী কন্যা। আর এই শেষ কিস্তি প্রকাশ পাওয়ার পরই পাকাপাকিভাবে শো-কজের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বাম নেতৃত্ব।

সিপিএম সূত্রে খবর, অনিল বিশ্বাসের কন্যা নয়, বরং একজন দলীয় সদস্য হিসেবেই তাঁকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই শো-কজের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তা পৌঁছেও যাবে অজন্তার কাছে। তাঁর জবাবের উপর ভিত্তি করে এরিয়া কমিটি ও কলকাতা জেলা কমিটিতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। অজন্তার জবাবে সন্তুষ্ট না হলে তবেই কলকাতা জেলা কমিটি পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বলে খবর সূত্রের।

অন্যদিকে, বিতর্কে দাঁড়ি টানতে চেয়ে শনিবারই মুখ খুলেছেন অজন্তা। এক অডিয়ো বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বঙ্গ রাজনীতিতে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা নেত্রী হিসাবে তিনি দীর্ঘদিন পুরুষ প্রধান রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। আমার প্রয়াস বঙ্গ রাজনীতিতে সকল বঙ্গ নারীদের অবদানের কথা তুলে ধরা।” তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “ইতিহাসের শিক্ষার্থী হিসাবে আমার গবেষণার বিষয় হল বঙ্গ নারী। বেশ কিছুদিন ধরে আমি এ বিষয়ে গবেষণা করে আসছি। এমনই একটি লেখা হল প্রাক-স্বাধীনতা পর্বে অবিভক্ত বাংলা এবং পশ্চিম বাংলার রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ।’’

উল্লেখ্য, সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’র ভূতপূর্ব সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্য অজন্তা বিশ্বাস প্রেসিডেন্সিতে পড়াকালীন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কলকাতা জেলা থেকে এখনও সিপিএমের পার্টি সদস্য তিনি। এখন দেখার সিপিএম কী পদক্ষেপ করে এ ব্যাপারে। প্রসঙ্গত, এদিনই বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন, “দলের উর্ধ্বে কেউ নন। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার শাস্তি পেতে হয়ই।” আরও পড়ুন: ‘মুখ পোড়াবেন না’, নিজের সরকারের পুলিশ ও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে সরব মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা

Next Article