AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মুখ পোড়াবেন না’, নিজের সরকারের পুলিশ ও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে সরব মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা

তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের সঙ্গে দিনকয়েক আগেই যে বিবাদ লেগেছিল, সেটাই এখন ক্রমশ আরও বড় আকার নিতে শুরু করেছে

'মুখ পোড়াবেন না', নিজের সরকারের পুলিশ ও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে সরব মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2021 | 5:10 PM
Share

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার মাসতিনেকের মধ্যেই শাসকদলের অন্তর্কলহ উঠেছে চরমে। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এ বার সরাসরি প্রশাসনের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন। ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের সঙ্গে দিনকয়েক আগেই যে বিবাদ লেগেছিল, সেটাই এখন ক্রমশ আরও বড় আকার ধারণ করছে। সরাসরি শেখ শাহাজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সুর চড়িয়েছেন সিদ্দিকুল্লা। কিন্তু প্রশাসন তাঁর অভিযোগ লঘু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি।

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের এই নেতা রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন এ দিন। তাঁর সাফ কথা, “আমি ইজ্জত বিক্রি করে তৃণমূলে আসিনি। এসপি সাহেব সঠিক পদক্ষেপ নিন। শাহাজাহানকে গ্রেফতার করুন। যারা দোষী তাঁদেরকে গ্রেফতার করুন। আইন আইনের পথে চলুক। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ উজ্জ্বল হোক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ উজ্জ্বল হোক এটা আমি চাই। দলের মুখ কলঙ্কিত হোক আমি এটা চাই না।”

শাহাজাহানের সঙ্গে সিদ্দিকুল্লার বিবাদের সূত্রপাত দিনকয়েক আগেই। জমিয়তের হয়ে ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে গেলে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লোকেরা তাঁকে মারধর করে, এমনকী ত্রাণের সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ তোলেন সিদ্দিকুল্লা। সেই থেকেই মন্ত্রী বনাম নেতার সংঘাতের সূচনা। ‘দাপুটে’ ওই নেতার হাতে ‘প্রহৃত’ হওয়ার পরও কেন পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না? শাহাজাহানের উপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে বলেই কি পুলিশ হাত গুটিয়ে, শনিবার ঘুরপথে এই বিস্ফোরক প্রশ্নও তুলতে শোনা গিয়েছে মন্ত্রীকে।

সিদ্দিকুল্লার দাবি, সন্দেশখালির ওই ঘটনার পর ন্যাজাট থানার ওসি ও শাহজাহান বিষয়টি নিয়ে জমিয়তের সদস্যদের থানায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ডেকে তাঁদের বলা হয়েছে, সেদিনের ঘটনা যেন লঘু করা দেখা হয়, এবং সে কথা জোর করে লিখিয়েও নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেই আরও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা। তাঁর সাফ কথা, শেখ শাহাজাহানকে গ্রেফতার করতেই হবে। এই কাজ করলে ‘অভিষেকের মুখ উজ্জ্বল হবে’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, “অভিষেক আমার স্নেহের। তাঁর অগ্রগতিতে আমি খুশি।” কিন্তু দলের অলিখিত সেকেন্ড ইন কমান্ডের প্রতি মন্ত্রীর প্রশ্ন, “আমার এই ব্যাপারটা নিয়ে কেন অভিষেকের ঘুম ভাঙছে না বুঝতে পারছি না।”

যদিও শেষে তাঁর সংযোজন, “আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করতে পারব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করতে পারব না। এক শাহজাহানকে বাঁচাতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ পোড়াবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ পোড়াবেন না।” আরও পড়ুন: রাজপথে যুব মোর্চার দৌড় হচ্ছেই, পুলিশি অনুমতিকে ‘থোরাই কেয়ার’ দিলীপের