আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘর নেই, অগত্যা ঠাঁই সার্কিট হাউজে। সেখানেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসহযোগিতার অভিযোগও তুললেন আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, অতিথিরা সেখানে পরিষেবা পেলেও, সাফাই হয় না উপাচার্যের ঘর। খাবার জলটুকুও দিয়ে যেতে চান না কেউ। এ নিয়ে জেলাশাসককে লিখলেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। রথীনবাবুর প্রশ্ন, তাঁকে রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন বলেই কি এমন আচরণের শিকার হতে হচ্ছে?
রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলছে। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের নির্দেশ, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গড়বে আদালত। এর মাঝেই দিন কয়েক আগে ফের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তাতে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য রথীন বন্দোপাধ্যায়কে আলিপুরদুয়ারে অস্থায়ী উপাচার্য পদে বসিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন যেন সে পদ ‘কাঁটার মুকুট’ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উপাচার্যের।
রথীনবাবুর দাবি, আলিপুরদুয়ারে অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব নিতে এসে কালো পতাকা দেখতে হয়েছে। নানা বিরোধিতা তো চলছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উপাচার্যের বাসভবন বা গেস্ট হাউজ পর্যন্ত নেই। এরপরই জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেন রথীনবাবু। তাতেই সার্কিট হাউজে একটি ঘরও পান। ভাড়া বাড়ি খুঁজে সে বাড়ি কয়েকদিনের মধ্যে ছেড়ে দেবেন বলেও জানান।
রথীনবাবুর অভিযোগ, সার্কিট হাউজে থাকতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে। সার্কিট হাউজে অন্যান্য অতিথিরা পরিষেবা পাচ্ছেন। অথচ উপাচার্য তা থেকে বঞ্চিত বলেই দাবি তাঁর। চা-জল হোক বা খাবার, ছুটতে হচ্ছে বাইরে। জেলাশাসককে লেখা চিঠিতে উপাচার্যের আবেদন, সার্কিট হাউজে থাকা বাকি অতিথিদের মতোই তাঁকেও অন্তত চা-জল ও খাবার দিক কর্তৃপক্ষ। খরচ যা হবে তা তিনিই দেবেন। সূত্রের খবর, বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আসার পর জেলা প্রশাসনের তরফে বুধবার রাতে উপাচার্যের কাছে দুঃখ প্রকাশও করা হয়েছে।
রথীন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আচার্যের আদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছি। এক শিক্ষককে এভাবে অপমান করে শিক্ষাঙ্গনের উন্নতি হতে পারে কি? আমাকে জল ও খাবার দিতে নিষেধ করা হয়েছে শুনে স্তম্ভিত আমি। আমি এক অধ্যাপক। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যায়ের প্রাক্তন উপাচার্য আমি। এখন রাজ্যপালের নির্দেশে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছি। রাজ্যের নাগরিক আমি। আমাকে সামান্য খাওয়ার জল ও খাবার দেওয়া যাবে না? পরে অবশ্য আপনাদের জানানোয়, নিজেদের ভুল বুঝেছেন ওনারা।”