কলকাতা : একদিকে টেটের ভুল প্রশ্ন নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। অন্যদিকে, মাদ্রাসাতেও এবার সামনে এল প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ। মাদ্রাসা কমিশন ভুল থাকার কথা অস্বীকার করলেও আদালত সে কথা মেনে নিতে নারাজ। তাই প্রশ্নর সেই ভুল খুঁজে বের করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শারীরশিক্ষার পরীক্ষায় ১০ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
শেখ আব্বাস আলি সহ মোট ১২ জন এই মামলা করেন। ২০১৩-র শরীরশিক্ষার এসএলএসটি পরীক্ষা হয় ২০২১ সালে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনই এই পরীক্ষা নেয়। আদালতের নির্দেশে, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন রিপোর্ট দিয়ে জানায়, কোনও প্রশ্ন ভুল ছিল না। বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় সেই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘যিনি প্রশ্ন তৈরি করেন, তিনি কী ভাবে নিজেদের তৈরি প্রশ্নের ভুল বাছবেন! মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’ সেই কারণেই বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন তিনি।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরশিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে মাথায় রেখে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০ নভেম্বরের মধ্যে ‘ভুল’ প্রশ্ন সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আরও একটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। উত্তরপত্রে অন্য কালি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায়, তা যাচাইয়ের জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির (CFSL) ডিরেক্টর এবং ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। বুধবারই সেই ফরেন্সিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে হাইকোর্টে। আর তাতে দেখা গিয়েছে পরীক্ষার্থীর পেন ছাড়াও অন্য পেন ব্যবহার করা হয়েছে ওএমআর শিটে।