Extortion in Kolkata: ১০০০ টাকা করে দিতে হবে, কাউন্সিলরের নাম করে ‘তোলাবাজি’ খাস কলকাতায়
Extortion in Kolkata: ওই ফলবিক্রেতা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা করা হয় বলেও অভিযোগ।
কলকাতা : শহর কলকাতায় ফের তোলাবাজির অভিযোগ (Allegation of Extortion)। অভিযোগের তির শাসক শিবিরের দিকে। শুক্রবার রাতে শিয়ালদহ চত্বরে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে কলকাতার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচিন সিং-এর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। রাতে শিয়ালদহ চত্বরেই নিজের ফলের দোকানে ছিলেন ফলবিক্রেতা দীপঙ্কর রাউথ। অভিযোগ তখনই ওই ফল বিক্রেতার থেকে ১ হাজার টাকা দাবি করে রাহুল যাদব নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি নিজেকে শচিন সিং-এর অনুগামী বলেও দাবি করে। কিন্তু ওই ফলবিক্রেতা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা করা হয় বলেও অভিযোগ।
শুক্রবার রাতেই জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। তবে রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই দীপঙ্কর রাউথ নামে ওই ফলবিক্রেতা সোজা চলে যান এন্টালি থানায়। সেখানে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাত প্রায় সাড়ে ১২ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে।
তবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শচিন সিং। উল্টে কাউন্সিলরের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এইসব বাজে বিষয়। আমি এইসব কিছুই জানি না।” উল্লেখ্য, ওই এলাকায় এর আগেও বেশ কয়েকবার তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই বিষয়টি নিয়েও তিনি কিছু জানেন না বলেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কাউন্সিলর শচিন সিং। যদি কোনও অভিযোগ থাকে সে ক্ষেত্রে ওই রাহুল যাদবদের নামে থানায় অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন, ২১ জুলাইয়ের জন্য কোনওভাবে চাঁদা তোলা যাবে না। এই মন্তব্যের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই এই ধরনের বিষয়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তারপরও খাস কলকাতায় তোলাবাজির অভিযোগের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলরের নাম জড়ানোয় অস্বস্তি বাড়ছে শাসক শিবিরের। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম যোগের কথা অস্বীকার করেছেন শাসক দলের কাউন্সিলর।