Patient death in Hospital: ‘আমার ছেলেটাকে ফেলে রেখে মেরে ফেলল ডাক্তার’, আরজিকরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পান্ডুয়ার অশোক
Patient death in Hospital: অভিজিতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, অভিজিতের কোনও চিকিৎসাই করা হয়নি। ফেলে রেখে মেরে ফেলা হয়েছে।
কলকাতা: বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল এক সপ্তাহ। শেষে অপারেশনের টাইম দিয়েও করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল রোগী। গুরুতর অভিযোগ উঠছে আরজিকর হাসপাতালের (Hospital) বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, গত মাসের শেষ দিকে বাইক দুর্ঘটনায় মাথায় চোট পান পান্ডুয়ার বাসিন্দা অভিজিৎ মণ্ডল (২৮)। ভর্তি ছিলেন চুঁচুড়া হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয় আরজিকরে। সোমবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
কিন্তু, অভিজিতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। এখানে নিয়ে এলেও অভিজিতের কোনও চিকিৎসাই করা হয়নি। ফেলে রেখে মেরে ফেলা হয়েছে। এদিন আরজিকরের কলকাতা পুলিশের মর্গের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিজিতের পরিবারের লোকজন। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে অভিজিতের বাবা অশোক কুমার মণ্ডল বলেন, “শুরু থেকেই আমরা ডাক্তারদের পরিষেবা ঠিক মতো পাইনি। আরজিরের এক ডাক্তার অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমরা অনেক চেষ্টা করে অপারেশনের ব্যবস্থা করতে পারি শেষ পর্যন্ত। সোমবার সাড়ে ৯টায় অপারেশনের টাইম দেয়। কিন্তু, সকাল সাড়ে ন’টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ডাক্তার আসেনি। আমার ছেলেটাকে শুধু ফেলে রেখে মেরে ফেলেছে ডাক্তার। গতকাল এগারোটা পয়তাল্লিশ নাগাদ ও মারা যায়। আমার কাছেই ও তখন ছিল। ও মারা যেতেই ডাক্তারদের কাছে ফোন গেল। মিনিট খানেকের মধ্যে তিন-চারজন ডাক্তার ছুটে এল। আয়া, নার্স সবাই এল। নাটক করে আমার ছেলেটাকে আইসিইউতে নিয়ে গেল। ১টা ২০ নাগাদ ওনারা অফিসিয়ালি বললেন আমার ছেলে তখন মারা গিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুবিচার চাই। গত এক সপ্তাহ ধরে আমার ছেলে এখানে ভর্তি ছিল। কিন্তু, ওর কোনও চিকিৎসাই হয়নি।”