Education System of Bengal: শিক্ষকদের পদোন্নতিতে নয়া নিয়ম, ‘অ্যাপ্রাইজাল’ পদ্ধতিতে হাঁটছে রাজ্য, কী বলছে শিক্ষা মহল?
Education System of Bengal: জাতীয় শিক্ষানীতি বলছে তৈরি হবে ন্যাশনাল প্রোফেসনাল স্ট্যান্ডার্স ফর টিচার্স বা NPST। এর মাধ্যমেই শিক্ষকদের পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি হবে। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় ট্রেনিংও এই NPST দিয়ে হবে।
কলকাতা: আর এমনি এমনি নয়। এবার থেকে শিক্ষকদের পদোন্নতিতে আসছে নয়া নিয়ম। এবার অ্যাকাডেমিক পারফরমেন্স ইনডেক্টরের মাধ্যমে হবে পদোন্নতি। সূত্রের খবর, শিক্ষকদের (Teacher) পদোন্নতির বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বার্ষিক মূল্যায়নের মাপকাঠির ওপরেই। অর্থাৎ শিক্ষকদের গুণগত মান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ‘অ্যাপ্রাইজাল’ পদ্ধতিতে হাঁটছে রাজ্য। এক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্যারামিটার নির্ধারিত হচ্ছে। অর্থাৎ এক জন শিক্ষক সময়ের যথোপযুক্ত আপডেট হচ্ছেন কি না, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কি না, এসবের ওপর জোর দেওয়া হবে। তার ওপরেই তাঁর পদোন্নতি নির্ধারিত হবে।
এদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি বলছে, তৈরি হবে ন্যাশনাল প্রোফেসনাল স্ট্যান্ডার্স ফর টিচার্স বা NPST। এর মাধ্যমেই শিক্ষকদের পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি হবে। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় ট্রেনিংও এই NPST দিয়ে হবে। এদিকে এ খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে শিক্ষা মহলে। এদিকে জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন রাজ্যে হবে কি না তা নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে চলেছে নানা জল্পনা। নয়া শিক্ষা নীতি নিয়ে জাতীয় স্তরেও হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। পক্ষে বিপক্ষে উঠে এসেছে নানা মত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নন্দিনী মুখোপাধ্যায় আবার এ নিয়ে বাংলার সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন। গোটা পদ্ধতি নিয়েই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। বলছেন, “রাজ্য সরকার মুখে যতই না বলুক, ওই জাতীয় শিক্ষানীতিই মেনে নিচ্ছে। একজন অধ্যাপকের API তার প্রকাশিত জার্নাল দিয়ে অন্তত মাপা যায়। স্কুল শিক্ষকের API কীভাবে ঠিক হবে জানি না। আদৌ স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে কি না তাও জানি না।” খানিক একই সুর শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকারের গলাতেও। পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনিও। বলছেন, “আগে তো স্কুলগুলোয় ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরি করুক। নাহলে শিক্ষকরা তাঁদের পারফরমেন্স দেখাবেন কী করে?”