Physical Harassment: স্বাস্থ্যকর্মীকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ! কাঠগড়ায় নির্মল মাজি ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক
Allegation of Physical Harassment : মূলত ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যে দুটি অভিযোগ রয়েছে। প্রথম অভিযোগ, সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য রোগীর পরিবারের থেকে টাকা নেওয়া এবং দ্বিতীয় অভিযোগ, এক জুনিয়র নার্সকে শারীরিক হেনস্থা করা।
কলকাতা : সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হয়েও সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় এক রোগীর পরিবারের কাছে টাকা নেওয়ার অভিযোগ লেডি ডাফরিন হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক রাজেশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। রোগীর পরিবার গত সপ্তাহে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ জানায় বিষয়টি নিয়ে। সেই সময় ওটিতে কর্তব্যরত এক জুনিয়র নার্স রোগীর পরিবারকে এই ব্যাপারে সাহায্য করেন। অভিযোগ, সেই কথা জানার পরেই নিজের প্রভাব খাটিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক নানা ভাবে ওই জুনিয়র নার্সকে হেনস্থা করেন। এমনকী বুধবার ওই জুনিয়র নার্সকে শারীরিক ও যৌন নিগ্রহ (Physical Harassment) করার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে। এদিকে শনিবার লেডি ডাফরিন হাসপাতালে এসে কতৃপক্ষের সঙ্গে নার্সেস ইউনিটি সদস্যরা দেখা করতে চাইলে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিস আসে। পুলিশের সঙ্গে নার্সেস ইউনিটি সদস্যদের বচসাও শুরু হয় । ঘটনার জেরে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মূলত ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যে দুটি অভিযোগ রয়েছে। প্রথম অভিযোগ, সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য রোগীর পরিবারের থেকে টাকা নেওয়া এবং দ্বিতীয় অভিযোগ, এক জুনিয়র নার্সকে শারীরিক হেনস্থা করা। জানা গিয়েছে ওই চিকিৎসক রাজেশ বিশ্বাস নির্মল মাজির ঘনিষ্ঠ। যদিও চিকিৎসক রাজেশ বিশ্বাসের দাবি, তাঁর যে বিরোধী শিবির, তাদের পক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে বার বার হেনস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসক রাজেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এর পিছনে রয়েছেন পার্থপ্রতিম মণ্ডল, বোধিসত্ত্ব মহাপাত্র। তাঁরা পরিকল্পনা করে আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলছেন। রোগীর স্বামী হলেন চিকিৎসক পার্থ মণ্ডলের গাড়ির চালক। তাঁর স্ত্রী ভর্তি হয়েছিলেন। রোগীর আগের দুই বার সিজার ছিল। আমাদের সিনিয়র মালবিকা ঘোষের অধীনেই তিনি ভর্তি হন, সিজার করার ভাবনা তাঁরই ছিল। উনিই সিজার করেছেন, আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। এমন নয় যে আমি ডেকে এনে সিজার করিয়েছি। আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ আছে, সেটি দেখলেই সব বোঝা যাবে।”
এদিকে বিষয়টি নিয়ে লেডি ডাফরিন হাসপাতালের সুপার জয়ব্রতি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রোগীর স্বামী সরকারি কোনও হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মী। তাহলে কি উনি সরকারি হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হওয়ার পরেও তিনি জানেন না যে সরকারি হাসপাতালে ডেলিভারির জন্য ১২ টাকাও নেওয়া হয় না? উনি ১২ হাজার টাকা দিয়ে দিলেন? আমি এখানে গতকাল সন্ধ্যা ৬ টা ১০ অবধি ছিলাম। উনি এসে টাকাটা দেওয়ার আগে আমার কাছে অভিযোগ জানালেন না কেন?
নার্সেস ইউনিটির তরফে ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমাদের মেয়েটির সঙ্গে যে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে এবং তারপর তাঁকে যে ক্রমশ হুমকি দেওয়া হচ্ছে এটা নিয়ে আমরা সুপারের সঙ্গে কথা বলতে চাই। চিকিৎসকের ও নার্সদের মধ্যে কাজের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বাসটা সবথেকে মূল্যবান। এখানে যদি আমি আমাকে রক্ষা করতে ব্যস্ত হয়ে যাই, তাহলে রোগীকে কীভাবে দেখব?”