সৌরভ দত্ত: টিকা নিয়ে বিভ্রাট এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital)। অভিযোগ, টিকা না নিলেও টিকাপ্রাপ্তির শংসাপত্র পেয়েছেন এক ব্যক্তি। কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন হাওড়ার ওই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, টিকা তিনি নেননি। তবুও শনিবার দেখেন তাঁর টিকা নেওয়ার শংসাপত্র এসেছে অনলাইনে। এরপরই এসএসকেএমে যান তিনি। যদিও এ নিয়ে এখনও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাওড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব রায় করোনার টিকা নেবেন বলে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন কো-উইন অ্যাপে। তবে টিকা পাননি। এদিকে শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রথম ডোজ় প্রাপ্তির শংসাপত্র পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ সঞ্জীববাবুর। শংসাপত্রে লেখা রয়েছে, এসএসকেএম থেকে সকালে কোভ্যাক্সিনের ডোজ় নিয়েছেন দাসনগরের ৪১ বছরের ওই ব্যক্তি।
এরপরই সাত তাড়াতাড়ি এসএসকেএমে ছুটে যান তিনি। কী ভাবে রাজ্যের প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজ এসএসকেএমে এ ধরনের ঘটনা ঘটল তাজ্জব সকলে। সঞ্জীববাবুর বক্তব্য, হাওড়া থেকে এসে এসএসকেএমে টিকা নিয়ে যাওয়াটা একেবারেই অবাস্তব কথা। তিনি তা হাসপাতালের চিকিৎসক ও তথ্যপ্রযুক্তিগত বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদের জানান। নথি ঘেঁটে দেখা যায় সত্যিই কোনও টিকা নেননি হাওড়ার ওই ব্যক্তি।
এরপর তাঁর কাছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানতে চায় কোভ্যাক্সিন নিতে উনি আগ্রহী কি না। তাতে তিনি রাজিও হন। টিকা দেওয়া হয়। সঞ্জীববাবুর কাছে দ্বিতীয় শংসাপত্রটিও এসে পৌঁছয়। দেখা যায় দুই শংসাপত্রে মূল তফাৎই হল ইউনিক হেলথ আইডি। প্রথমটিতে সেই জায়গা ফাঁকা ছিল। যদিও এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনই কিছু বলতে পারেনি। যারা এই ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়াটি দেখছে, সেই কমিউনিটি মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান জানান, আইটি সেলের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে কেন এমন ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’ হল।