হকিস্টিক দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, SSKM হাসপাতালে আবারও দুষ্কৃতী তাণ্ডব

SSKM: জানা যাচ্ছে, শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের বাইরে এক রোগীর পরিবারের সদস্যরা দাঁড়িয়েছিলেন। অর্ডোপেডিক বিভাগে এক রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁর রবিবার ডিসচার্জ হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, হঠাৎই একদল দুষ্কৃতী হকি স্টিক, লাঠি হাতে হাসপাতালে ঢোকে।

হকিস্টিক দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ,  SSKM হাসপাতালে আবারও দুষ্কৃতী তাণ্ডব
এসএসকেএম-এ দুষ্কৃতী তাণ্ডব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2024 | 1:44 PM

কলকাতা: অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দশ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম দাবি হাসপাতালে নিরাপত্তা। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনশনকারী অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়রা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এমনিতেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। তার মধ্যে আবারও এসএসকেএম হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ। হাসপাতালে ঢুকে রোগীর পরিবার-আত্মীয়দের ওপরই হামলার অভিযোগ। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে বলেও খবর।

জানা যাচ্ছে, শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের বাইরে এক রোগীর পরিবারের সদস্যরা দাঁড়িয়েছিলেন। অর্ডোপেডিক বিভাগে এক রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁর রবিবার ডিসচার্জ হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, হঠাৎই একদল দুষ্কৃতী হকি স্টিক, লাঠি হাতে হাসপাতালে ঢোকে। হাসপাতল চত্বরেও রোগীর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে বলে অভিযোগ। কিন্তু কী কারণে এই হামলা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।আরও অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে হামলা হলেও, কোনও পুলিশ এলাকায় দেখা যায়নি।

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “প্রথম থেকে আমরা এই কথাটাই বলছি। যদি হাসপাতালের সামগ্রীক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করা যায়, তাহলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে রোগীর পরিজন, কেউই নিরাপদ নয়। হাসপাতাল যদি অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে যায়, তাহলে আর কিছু বলার নেই।”

আহত রোগীর আত্মীয় বলেন, “৩ তারিখ ভর্তি হয়েছিল। ১৩ তারিখ ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। সিকিউরিটি গেটে গিয়ে বলতে, গার্ড বললেন, ৯টার সময়ে বলতে। আমি রাতে যেখানে ঘুমিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে দাঁড়াই। দেখি কতগুলো ছেলে ছুটে আসছে। হঠাৎ করে মার শুরু করে।”

ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারী চিকিৎসক বলেন, “আমরা যে লড়াইটা লড়ে যাচ্ছি, সেটা হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়েই। হাসপাতালে ঢুকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে রোগীর বাড়ির লোককে হকিস্টিক দিয়ে মেরে মাথা ফাটাল, তিলোত্তমা কাণ্ডের পরও এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে নিরাপত্তা নিয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।”