কলকাতা : সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। আর তার আগেই গ্রামীণ রাস্তাগুলির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে নজর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। শীঘ্রই শুরু হবে রাস্তা সারাইয়ের কাজ। ৯ ফেব্রুয়ারিতে পাঁচলার জনসভা থেকে এ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন এই রাস্তাগুলি সারাইয়ের কাজে রাজ্য সরকার ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। এ ঘোষণার পরেই শনিবার পঞ্চায়েত দফতর ও সব জেলার জেলা শাসকদের নিয়ে এই বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ঠিক হল রূপরেখা। গ্রামীণ সব খারাপ রাস্তা আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে সারাই করতে হবে। দেওয়া হল স্পষ্ট নির্দেশ।
জেলা ভিত্তিক খারাপ রাস্তাগুলির তালিকা পঞ্চায়েত দফতর থেকে জেলার কাছে গেলেই দরপত্র ডেকে সেই কাজ শুরু করা হবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই জোরকদমে শুরু হয়ে যাবে কাজ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় রাস্তার কাজ করা হলেও এটি পুরোপুরি রাজ্য নিজের টাকায় করতে চলেছে। এই টাকায় পিচ থেকে ঢালাই সমস্ত রাস্তারই কাজ হবে বলে খবর। মোট ১০ হাজার ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৮ মার্চের মধ্যে শেষ হবে টেন্ডার ডাকার কাজ। একইসঙ্গে এই কাজ হলেও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তার কাজ বন্ধ হবে না। গিয়েছে এই নির্দেশও।
প্রসঙ্গত, মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন দিদির দূতরা। ঘুরছেন নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের কাছে পেয়ে আবাস যোজনার ঘর থেকে পানীয় জলের সমস্যা, সবই জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে বিক্ষোভের ছবিও। রাস্তার সমস্যা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে।
কোথাও ঢালাই রাস্তার দাবি, কোথাও আবার বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে, লাগাতার আন্দোলন দেখা গিয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। কোথাও ডেপুটেশন জমা পড়েছে বিডিও অফিসে, কোথাও আবার ডেপুটেশন জমা পড়েছে পঞ্চায়েত অফিসে। অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রাস্তা সারাইয়ের জন্য সরকারি পদক্ষেপে আশার আলো দেখছেন বহু মানুষ। তবে উদ্য়োগ নেওয়া হলেও বাস্তাবে তার প্রতিফলন কতটা পড়বে সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।