Partha Chatterjee: আজ যে সংস্থার মালকিন অর্পিতা, ৬ বছর আগে তার শেয়ার ছিল পার্থর মেয়ে সোহিনীর নামে!

Partha Chatterjee: ইডির নজরে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে ও জামাই। ভুয়ো সংস্থার মালিকানা, তাঁদের নামে ছিল বলেও জানতে পেরেছে ইডি।

Partha Chatterjee: আজ যে সংস্থার মালকিন অর্পিতা, ৬ বছর আগে তার শেয়ার ছিল পার্থর মেয়ে সোহিনীর নামে!
অনন্ত টেক্সফ্যাবের সেই নথি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 8:22 AM

কলকাতা : প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস জানতে যখন মরিয়া ইডি আধিকারিকরা, তখন সংবাদমাধ্যমের সামনে পার্থ দাবি করেছেন, সেই টাকা তাঁর নয়। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা যে পার্থর, এমন কোনও প্রমাণ নেই বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবীও। কিন্তু, শুক্রবার আদালতে এমন এক সংস্থার কথা উল্লেখ করেছে ইডি, যাঁর বর্তমান মালিকানা অর্পিতার হলেও, একসময় সেই সংস্থার মালিকানা ছিল পার্থ-র মেয়ে-জামাইয়ের। তবে কি দুর্নীতির টাকা যেত পার্থর মেয়ের কাছেও? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

অনন্ত টেক্সফ্যাবের ঠিকানা ‘ক্লাব টাউন’

সংস্থার নাম অনন্ত টেক্সফ্যাব। বর্তমানে সেই সংস্থা যে ঠিকানার প্রেক্ষিতে নথিভুক্ত, তা হল বেলঘরিয়ার সেই ফ্ল্যাট। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর বেলঘরিয়ায় ক্লাব টাউন নামে অভিজাত আবাসনের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা, কয়েক কোটি টাকার সোনা। ওই ফ্ল্যাট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বলেই জানা গিয়েছে।

অনন্ত টেক্সফ্যাবের মালিক কে?

ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, বর্তমানে ওই ভুয়ো সংস্থার মালিকানা অর্পিতার নামেই রয়েছে। ১০০ শতাংশ শেয়ার তাঁরই। সংস্থার ১৫ হাজার শেয়ারের মধ্যে ১২ হাজার ৭৫০ টি শেয়ার রয়েছে অর্পিতার নামে। আর বাকি শেয়ার রয়েছে অর্পিতার প্রযোজনা সংস্থা ‘ইচ্ছা এনটারটেনমেন্ট’-এর নামে।

সামনে আসছে মেয়ে-জামাইয়ের নাম

আজ যে সংস্থার সম্পূর্ণ মালিকানা অর্পিতার, বছর কয়েক পিছনে গেলেই দেখা যাবে, সেই সংস্থার মালিকানা ছিল প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আত্মীয়দের নামে। ৬ বছরের পুরনো সেই নথি রয়েছে TV9 বাংলার হাতে। সংস্থার ব্যালান্স শিটে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ১০০ শতাংশ মালিকানাই ছিল পার্থর আত্মীয়দের নামে। ৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন তাঁর মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্য়ায়, ১৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন পার্থর প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্য়ায় আর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের নামে ছিল সংস্থার ১০ শতাংশ শেয়ার।

ইডি-র তদন্তকারীরা মনে করছেন, এরকম একাধিক ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়ে থাকতে পারে। এর আগে অপা ইউটিলিটি সার্ভিস সহ একাধিক সংস্থার নামও সামনে এসেছে। সত্যিই কি টাকা পার্থর নয়? সেই তথ্যই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। শুক্রবার পার্থকে আদালতে তোলা হলে, তাঁর আইনজীবী উল্লেখ করেন, যে কোনও জায়গা থেকে টাকা পাওয়া গেলে তা পার্থর হয়ে যায় কী ভাবে? তাঁর দাবি, পার্থর কাছ থেকে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি। ঘুষ নেওয়ার কোনও প্রমাণও নেই। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়।