Partha Chatterjee: ‘দেখেছেন, আজ আমার পাশে কেউ নেই’, প্রিজন ভ্যানে উঠেই আক্ষেপ পার্থর

Partha Chatterjee: ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Partha Chatterjee: 'দেখেছেন, আজ আমার পাশে কেউ নেই', প্রিজন ভ্যানে উঠেই আক্ষেপ পার্থর
পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 6:56 AM

কলকাতা : শুধুমাত্র প্রাক্তন মন্ত্রী নন, দলের একজন প্রথম সারির সৈনিক বলেই বরাবর পরিচিতি পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্তও দলের মহাসচিবের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। দলের যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ থাকতেন সামনের সারিতেই। ২৩ জুলাইয়ের পর যেন এক লহমায় বদলে গিয়েছে সবকিছু। ইডি হেফাজত শেষে আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে যখন ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে আসছে, তখন বর্ষীয়ান রাজনীতিকের একটাই আক্ষেপ, ‘পাশে কেউ নেই!’

শুক্রবার নগর দায়রা আদালত পার্থর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁকে প্রিজন ভ্যানে করে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর গলায় শোনা যায় অভিমানের সুর।  পুলিশ সূত্রে খবর, দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের আক্ষেপের সুরে পার্থ বলেন, ‘দেখেছেন, আজ আমার পাশে কেউ নেই’। তারপর বাকি রাস্তাটা চোখ বন্ধ করেই বসেছিলেন পার্থ।

বছর খানেক আগে যে দিন সকালে একসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে দিন দলীয় বিধায়কদের পাশে দাঁড়াতে নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন আর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক। রীতিমতো ধর্নায় বসে যান তৃণমূল নেতারা। আর পার্থর ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারে অন্যরকম।

২৩ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সিজিও কমপ্লেক্স বা আদালত, কোথাও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য নেতাকে দেখা যায়নি। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মন্ত্রিত্ব গিয়েছে, গিয়েছে দলীয় পদও। আপাতত তিনি একজন বিধায়ক। সেই পদও ছাড়তে রাজি বলে আদালতে জানিয়েছেন পার্থর আইনজীবী। সেখানেই শেষ নয়, পার্থ জেলে যাওয়ার পর দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তাতেই স্পষ্ট দলের তরফে পার্থর পাশে সত্যিই ‘কেউ নেই’।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে কুণাল ঘোষ চাঁচাছোলা ভাষায় বলেছেন, ওঁকে যেন কোনও বাড়তি সুবিধা না দেওয়া হয়। আশা করি জেল কর্তৃপক্ষ ওঁকে একদম সাধারণ বন্দির মতো রাখবে। একজন দলীয় মুখপাত্রের এই মন্তব্য কি শুধুই ব্যক্তিগত? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

কারা দফতর সূত্রে খবর, পার্থ ও অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়, দুজনকেই সাধারণ বন্দির মতো রাখা হবে। কোনও বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে না। প্রায় ২২ বছর ধরে বিধায়ক থাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর আক্ষেপ থেকে স্পষ্ট, মাত্র ২ সপ্তাহে সবকিছু বদলে যাবে, তা বোধহয় তাঁর কাছেও অপ্রত্যাশিত।