CPIM: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তো দুর্নীতিগ্রস্তরা আওয়াজ তুলতে পারে না’, একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে তোপ সেলিমের

CPIM: বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন? চব্বিশে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন? তৃণমূল-বিজেপিকে ঠেকিয়ে কীভাবে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাবে বামেরা? কী বলছেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম?

CPIM: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তো দুর্নীতিগ্রস্তরা আওয়াজ তুলতে পারে না’, একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে তোপ সেলিমের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 11:05 AM

কলকাতা: পার্থ (Partha Chatterjee) ইস্যুতে উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকা দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড় বঙ্গবাসীর। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর থেকেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছে বিজেপি। পথে নেমেছে বামেরাও। এদিকে একসময় তৃণমূলের রাজ্যজোড়া আন্দোলনের কারণেই একসময় পতন হয়েছিল বাম সরকারের। এবার সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কী বলছে বামেরা? বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন? চব্বিশে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন? তৃণমূল-বিজেপিকে ঠেকিয়ে কীভাবে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাবে বামেরা (CPIM)? টিভি-৯ বাংলার স্টুডিয়োতে এসে সব প্রশ্নেরই সোজাসুজি উত্তর দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম( Mohammad Selim)।  

এদিন স্টুডিয়ো থেকেই পার্থ ইস্যুতে সোজাসাপটা আক্রমণ শানাতে দেখা যায় সেলিমকে। লাগাতার তোপ দাগেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও। তীব্র কটাক্ষবান শানিয়ে সেলিম বলেন, “এই দুর্নীতি তো পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা করেননি। তাঁর দফতর এর সঙ্গে জড়িত ছিল। দফতরের স্কুল সার্ভিস কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, কলেজ সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিলও তো কোনও না কোনওভাবে এই দুর্নীতিকে প্রশয় দিয়েছে। সবাই একসঙ্গে না জড়ালে এত বড় স্ক্যাম হয় না। আদপেই এটা একটা খারাপ রাজত্ব চলছে। যেখানে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত যাঁরা তাঁরা সবাই সবার দ্বারা উপকৃত। এ যেন একটা অল্টারনেটিভ ইকোনমি।”

তবে এদিন তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি সেলিম। তিনি বলেন, “একটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তো আর দুর্নীতিগ্রস্তরা আওয়াজ তুলতে পারেনা। তাঁদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। বিজেপি যে সমস্ত নেতা রয়েছে যেমন শুভেন্দু অধিকারী, তিনি আর কতদূর যাবেন। যখন চিটফান্ড হল, নারদা হল, তৃণমূলের যে এই দুর্নীতির রাজত্ব ছিল তার সঙ্গে তো অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত এই শুভেন্দু। এমনকী বাবুল সুপ্রিয়, অর্জুন সিংয়ের মতো নেতাদেরও দুই দলের মধ্যে যে কোনও সময় আদানপ্রদান হতেই পারে।”