Dengue: ফের শহরে ডেঙ্গি হানায় মৃত্যু, সংক্রমণ মোকাবিলায় বড় নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের
Dengue: স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মসূত্রে থাকা শহর ছাড়তে পারবেন না চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। একইসঙ্গে পুজোয় অষ্টমী ছাড়া সবদিন ওপিডি চালু রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: পুজোর মরশুমে গোটা রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। জেলায় জেলায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। বুধবার ফের আরও একজনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল কলকাতায় (Kolkata)। মৃত ব্যক্তি নাম শুভ ব্রহ্ম (২৫)। তাঁর বাড়ি ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পুঁটিয়ারির বিষ্ণুপল্লিতে। সূত্রের খবর, একদিন আগেই জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। বুধবারই তিনি ঢোলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। এদিকে এর আগে সোমবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের। এবার নতুন মৃত্যুর জেরে চলতি মরসুমে মোট ২৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বুধবার রাজ্য়ে নতুন করে ৯১২ জন ডেঙ্গির কবলে পড়েছেন। একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালে এখনও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬১০ রোগী। একইসঙ্গে এদিন মোট ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে ৮১১৭ জনের। পরিসংখ্যান বলছে গত দু’সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। তাতেই নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য মহলে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে জেলা-ব্লক-মহকুমা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, অ্যাডিশনাল সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের শহরেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। জারি হয়েছে বিবৃতি। পুজোর মুখে সংক্রমণের লাগামছাড়া বৃদ্ধিকে রুখতেই এই নির্দেশিকা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মসূত্রে থাকা শহর ছাড়তে পারবেন না চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। একইসঙ্গে পুজোয় অষ্টমী ছাড়া সবদিন ওপিডি চালু রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এদিকে তৃতীয়া থেকেই শহরের আকাশের মুখ ভার। দশমী পর্যন্ত রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। আর তাতেই নতুন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে। বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় শহরের নানা প্রান্তে। আর তাতেই জন্ম নেয় ডেঙ্গির লার্ভা। অন্যদিকে পুজোর মরশুমে শহরে ফুটপাতের খাবারের দোকান থেকে আরাও নানা ধরনের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। যার জেরে প্রতিদিনই শহরে আবর্জনার বাড়বাড়ন্ত দেখতে পাওয়া যায়। সেই সমস্ত আবর্জনাতেও জমা জলে ডেঙ্গির লার্ভা জন্মানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এ বিষয়েও সতর্ক থাকছে পৌরসভা।