কলকাতা ও দুবরাজপুর: বীরভূমের তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আর এরপর থেকেই ফের একবার চর্চায় অনুব্রতর দিল্লিযাত্রার প্রসঙ্গ। এবার কি কেষ্ট মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে ইডি (Enforcement Directorate)? এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। তবে শিবঠাকুরের মামলায় আদালত অনুব্রতকে জামিন দিলেও আইনত এখনই তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। কারণ, দিল্লিযাত্রা প্রসঙ্গে রাউস এভিনিউ কোর্টে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
আগামী ৯ জানুয়ারি সেই মামলার শুনানি রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। ফলে আপাতত অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারছেন না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জেলবন্দি অনুব্রতকে শোন অ্যারেস্ট করে এবং দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়। দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টের নির্দেশে যখন অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা প্রায় নিশ্চিত, ঠিক সেই সময় দুবরাজপুর থানায় অনুব্রতর নামে অভিযোগ জানান শিবঠাকুর মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডল নাকি অতীতে একবার তাঁর গলা টিপে ধরেছিলেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুব্রত মণ্ডলকে শোন অ্যারেস্ট করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ এবং পেশ করা হয় আদালতে। সেই সময় বিচারক অনুব্রত মণ্ডলের এক সপ্তাহের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন ফের অনুব্রতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ইতিপূর্বেই অনুব্রতর আইনজীবীরা রাউস এভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী ৯ জানুয়ারি সেই মামলার শুনানি রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। ফলে শিবঠাকুরের মামলায় আদালত কেষ্ট মণ্ডলকে জামিন দিলেও এখনই তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ঝুলেই থাকছে কেষ্টর দিল্লি যাত্রা।